ঢাকা    রোববার, ০২ নভেম্বর ২০২৫
সবুজ পত্র

আত্মহত্যা

নাঙ্গলকোটে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বিয়ের ৯ মাসের মাথায় কুলসুম আক্তার মনিকা (১৭) নামে এক গৃহবধূকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শাশুড়ী মায়া বেগম ও খালাতো ননদী নারগিসের বিরুদ্ধে। বুধবার বিকেলে উপজেলার জোড্ডা পূর্ব ইউনিয়নের  বাইয়ারা পূর্বপাড়া মিয়াজী বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। নিহত মনিকা পৌরসভার আতাকরা গ্রামের মাহবুবুল হক মজুমদারের মেয়ে। ও বাইয়ারা গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে সালেহ আহমেদ হৃদয়ের স্ত্রী। নিহতের বাবা মাহবুবুল হক মজুমদার অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়েকে ৯ মাস আগে পারিবারিক ভাবে বাইয়ারা গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে সালেহ আহমেদ হৃদয়ের কাছে বিয়ে দেই। বিয়ের পর থেকে তার শাশুড়ি মায়া বেগম নির্যাতন করে আসছে। বুধবার বিকেলে মায়া বেগম ও খালাতো ননদী নারগিস আমার মেয়েকে হত্যা করে লাশ নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখে পালিয়ে যায়।  হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যা ৬ টার আগে মনিকার স্বামী হৃদয় ও আরও তিন যুবক মনিকাকে নিয়ে  নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনলে দায়িত্বরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। দায়িত্বরত ডাক্তার মনিরুজ্জামান রানা বলেন, মনিকা নামে এক গৃহবধূকে হাসপাতালে আনার আগে তার মৃত্যু হয়। প্রাথমিক তদন্তে তার গলায় আঘাতের দাগ পাওয়া গেছে। বাকি তথ্য ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। নাঙ্গলকোট থানার ওসি একে ফজলুল হক বলেন, নিহতের স্বামীকে পুলিশ আটক করেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নাঙ্গলকোটে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ