ঢাকা    রোববার, ০২ নভেম্বর ২০২৫
সবুজ পত্র

ঝুকিপূর্ণ ভবনে চলছে স্বাস্থ্যসেবা-পরিত্যক্ত কোয়ার্টারে মাদকের আখড়া



ঝুকিপূর্ণ ভবনে চলছে স্বাস্থ্যসেবা-পরিত্যক্ত কোয়ার্টারে মাদকের আখড়া

ঝুকিপূর্ণ ভবনে চলছে স্বাস্থ্যসেবা-পরিত্যক্ত কোয়ার্টারে মাদকের আখড়া ভবনের দেয়ালের বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। ছাদ থেকে খসে পড়ছে ফলেপ সামগ্রী। ২ তলা ছাদ বিশিষ্ট এ ভবনেই ঝুঁকিপ‚র্ণ ভাবে চলছে চিকিৎসা সেবা। আর কর্র্মকতারা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই রোগীদের সেই কাঙ্খিত সেবা দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। একই হাসপাতালের আবাসিক কোয়ার্টার গুলো পরিত্যক্ত হয়েছে বহু আগেই। পরিত্যক্ত এসব কোয়ার্টারে দিন-রাত চলে মাদক আর অসামাজিক কার্যকলাপ। হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তার আবাসিক কোয়ার্টারের একটি কক্ষে গত কয়েক মাস আগে উদ্ধার করা হয়েছে যুবকের গলাকাটা লাশ। ইতোমধ্যে হাসপাতালটি ৫০ শয্যা থেকে ১'শ শয্যায় উন্নিত করার কাজ চলছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজের কিছু অংশ করে কাজ রেখে পালিয়েছে। কুমিল্লার লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জেলার কয়েকটি উপজেলার মধ্যে অন্যতম। এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাশ্ববর্তী লালমাই, নাঙ্গলকোট, মনোহরগঞ্জসহ আশপাশের উপজেলা থেকে শত শত রোগী সেবা নিতে আসেন। প্রতিদিন বহিঃবিভাগে প্রায় ১ হাজার থেকে ১২'শ রোগী সেবা নিতে আসেন। সেবার এ প্রতিষ্ঠানটি নিজেই নানা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত। ১৯৬৫ সালে স্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে নির্মিত হয় লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য আবাসিক কোয়ার্টার। এ সব কোয়ার্টার গত কয়েক বছর আগেই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ সব কোয়ার্টারের দরজা-জানালা, পানি ও গ্যাসের পাইপসহ প্রয়োজনীয় সকল যন্ত্রপাতি চুরি হয়ে গিয়েছে। কোয়ার্টারগুলোতে দিন-রাত মাদক সেবী ও অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিনত হয়েছে। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ কামরুল হাসান রিয়াদ বলেন, হাসপাতালের সমস্যার কোন অন্ত নেই। চিকিৎসা বা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসনের কোন ব্যবস্থা নেই। হাসপাতাল ভবন মেয়াদ উতির্ন। ইতোমধ্যে ভবনের কয়েক স্থানে ফাটল ধরে খসে পড়ছে। যে কোন সময় ভবন ধ্বসে পড়ে রোগী বা হাসপাতালের কোন ডাক্তার বা কর্মচারী আহত বা নিহত হতে পারে। স্বাস্থ্য বিভাগে সমস্যা নিয়ে জানানো হয়েছে। কোন প্রতিকার নেই। লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডাঃ নাজিয়া বিনতে আলম বলেন, লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বৃহত্তর লাকসাম বাসীর স্বাস্থ্য সেবার প্রধান কেন্দ্র। এ অঞ্চলের মানুষের চিকিৎসা সেবার এ হাসপাতাল নিজেই নানা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে আছে। মেয়াদ উতির্ন ভবনে রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে নিজেই আতংকে থাকি। কখন যে কোন অংশ ভেঙ্গে বা ধ্বসে পড়ে নিজে বা রোগী আহত বা নিহত হয়। সেবা দানকারী ডাক্তার বা নার্স অথবা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক কোয়ার্টার নেই। যে সব কোয়ার্টার আছে তা ব্যবহার অনুপযোগী। কোয়ার্টারের দরজা বা জানালা সব চুরি হয়ে গিয়েছে। গেল কয়েক মাস আগে পরিত্যক্ত আবাসিক কোয়ার্টারে অজ্ঞাত যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কোয়ার্টারের আশপাশে বসে দিন-রাত মাদকের আড্ডা। ডাক্তার বা সেবিকারা নিয়মিত অজানা আতংকের মধ্যে সেবা দিয়ে থাকেন। এছাড়াও রোগীদের আবাসিক পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডের ভবনের অধিকাংশ স্থানে ফাটল ধরেছে। কোন কোন স্থানের ফলেপ ধ্বসে পড়েছে। ভবন ঝুঁকিপুর্ন জানালার গ্রীল বাঁকা হয়ে গিয়েছে। এদিকে হাসপাতাল ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। বহিঃবিভাগ ও ডাক্তারদের আবাসিক কোয়ার্টারের কাজ চলমান অবস্থায় রেখে ঠিকাদার চলে গিয়েছে। চলমান কাজের মালামাল পড়ে প্রতিদিন দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। এসব বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ কে অবহিত করা হয়েছে। কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আলী নুর মোহাম্মদ বশির আহমদের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আপনার মতামত লিখুন

সবুজ পত্র

রোববার, ০২ নভেম্বর ২০২৫


ঝুকিপূর্ণ ভবনে চলছে স্বাস্থ্যসেবা-পরিত্যক্ত কোয়ার্টারে মাদকের আখড়া

প্রকাশের তারিখ : ১৩ অক্টোবর ২০২৫

featured Image

ঝুকিপূর্ণ ভবনে চলছে স্বাস্থ্যসেবা-পরিত্যক্ত কোয়ার্টারে মাদকের আখড়া ভবনের দেয়ালের বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। ছাদ থেকে খসে পড়ছে ফলেপ সামগ্রী। ২ তলা ছাদ বিশিষ্ট এ ভবনেই ঝুঁকিপ‚র্ণ ভাবে চলছে চিকিৎসা সেবা। আর কর্র্মকতারা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই রোগীদের সেই কাঙ্খিত সেবা দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। একই হাসপাতালের আবাসিক কোয়ার্টার গুলো পরিত্যক্ত হয়েছে বহু আগেই। পরিত্যক্ত এসব কোয়ার্টারে দিন-রাত চলে মাদক আর অসামাজিক কার্যকলাপ। হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তার আবাসিক কোয়ার্টারের একটি কক্ষে গত কয়েক মাস আগে উদ্ধার করা হয়েছে যুবকের গলাকাটা লাশ। ইতোমধ্যে হাসপাতালটি ৫০ শয্যা থেকে ১'শ শয্যায় উন্নিত করার কাজ চলছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজের কিছু অংশ করে কাজ রেখে পালিয়েছে। কুমিল্লার লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জেলার কয়েকটি উপজেলার মধ্যে অন্যতম। এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাশ্ববর্তী লালমাই, নাঙ্গলকোট, মনোহরগঞ্জসহ আশপাশের উপজেলা থেকে শত শত রোগী সেবা নিতে আসেন। প্রতিদিন বহিঃবিভাগে প্রায় ১ হাজার থেকে ১২'শ রোগী সেবা নিতে আসেন। সেবার এ প্রতিষ্ঠানটি নিজেই নানা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত। ১৯৬৫ সালে স্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে নির্মিত হয় লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য আবাসিক কোয়ার্টার। এ সব কোয়ার্টার গত কয়েক বছর আগেই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ সব কোয়ার্টারের দরজা-জানালা, পানি ও গ্যাসের পাইপসহ প্রয়োজনীয় সকল যন্ত্রপাতি চুরি হয়ে গিয়েছে। কোয়ার্টারগুলোতে দিন-রাত মাদক সেবী ও অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিনত হয়েছে। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ কামরুল হাসান রিয়াদ বলেন, হাসপাতালের সমস্যার কোন অন্ত নেই। চিকিৎসা বা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসনের কোন ব্যবস্থা নেই। হাসপাতাল ভবন মেয়াদ উতির্ন। ইতোমধ্যে ভবনের কয়েক স্থানে ফাটল ধরে খসে পড়ছে। যে কোন সময় ভবন ধ্বসে পড়ে রোগী বা হাসপাতালের কোন ডাক্তার বা কর্মচারী আহত বা নিহত হতে পারে। স্বাস্থ্য বিভাগে সমস্যা নিয়ে জানানো হয়েছে। কোন প্রতিকার নেই। লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডাঃ নাজিয়া বিনতে আলম বলেন, লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বৃহত্তর লাকসাম বাসীর স্বাস্থ্য সেবার প্রধান কেন্দ্র। এ অঞ্চলের মানুষের চিকিৎসা সেবার এ হাসপাতাল নিজেই নানা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে আছে। মেয়াদ উতির্ন ভবনে রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে নিজেই আতংকে থাকি। কখন যে কোন অংশ ভেঙ্গে বা ধ্বসে পড়ে নিজে বা রোগী আহত বা নিহত হয়। সেবা দানকারী ডাক্তার বা নার্স অথবা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক কোয়ার্টার নেই। যে সব কোয়ার্টার আছে তা ব্যবহার অনুপযোগী। কোয়ার্টারের দরজা বা জানালা সব চুরি হয়ে গিয়েছে। গেল কয়েক মাস আগে পরিত্যক্ত আবাসিক কোয়ার্টারে অজ্ঞাত যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কোয়ার্টারের আশপাশে বসে দিন-রাত মাদকের আড্ডা। ডাক্তার বা সেবিকারা নিয়মিত অজানা আতংকের মধ্যে সেবা দিয়ে থাকেন। এছাড়াও রোগীদের আবাসিক পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডের ভবনের অধিকাংশ স্থানে ফাটল ধরেছে। কোন কোন স্থানের ফলেপ ধ্বসে পড়েছে। ভবন ঝুঁকিপুর্ন জানালার গ্রীল বাঁকা হয়ে গিয়েছে। এদিকে হাসপাতাল ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। বহিঃবিভাগ ও ডাক্তারদের আবাসিক কোয়ার্টারের কাজ চলমান অবস্থায় রেখে ঠিকাদার চলে গিয়েছে। চলমান কাজের মালামাল পড়ে প্রতিদিন দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। এসব বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ কে অবহিত করা হয়েছে। কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আলী নুর মোহাম্মদ বশির আহমদের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


সবুজ পত্র

প্রধান সম্পাদক: জামাল উদ্দিন স্বপন, প্রধান সম্পাদক কর্তৃক শতরূপা প্রিন্টার্স, সালাম কমপ্লেক্স দ্বিতীয় তলা, নিউ মার্কেট কুমিল্লা থেকে মুদ্রিত ৮২, বাইপাস সড়ক মধ্য লাকসাম, লাকসাম, কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ৪৪, চেয়ারম্যান বাড়ি সংলগ্ন খান্দানি মার্কেট, লাকসাম, কুমিল্লা।

কপিরাইট © ২০২৫ সবুজ পত্র । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত