নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি :
আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন কমিটির সদস্য বর্তমানে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন। এই ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লা নাঙ্গলকোট উপজেলার মোকরা ইউনিয়ন বিএনপিতে।
জানা গেছে, নাঙ্গলকোট মোকরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য খোরশেদ আলম ভূঁইয়া বর্তমানে মৌকরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন। খোরশেদ আলম ভূঁইয়া মৌকরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ১২২ নাম্বার সদস্য। গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন খোরশেদ আলম ভূঁইয়া। স্থানীয় নুরুল ইসলাম নামে একজন জানান, গত ১৬ বছর উপজেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন কালুর সাথে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছে খোরশেদ আলম ভূঁইয়া। এমন শতাধিক ছবি রয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। খোরশেদ আলম ভুইয়া আওয়ামী লীগের কমিটির সদস্য উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটির প্যাডে উল্লেখ আছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে ঠিকাদারি করেছেন। ৫ আগস্টের পরে বোল পাল্টিয়ে এখন আবার বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছেন। কিছু কিছু বিএনপি নেতা আওয়ামী লোকদের কে কমিটিতে পথ বাগিয়ে দেওয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়া পাঁয়তারা করছেন। মৌকরা ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক মো. শাহ আলম বলেন, মৌকারা ইউনিয়ন বিএনপি কমিটি এখনো করা হয়নি। কবে হবে বলাও যাচ্ছে না। আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদ আলম ভুইয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. শাহ আলম বলেন, এমন ছবি তো শতাধিক আমরা দেখেছি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এ জন্য সম্মেলন স্থগিত হয়েছিল। এখন কবে হবে জেলা বিএনপি সিদ্ধান্ত দিবে। যখন যে দল ক্ষমতায় সেই দলের কাছেই ছুটে যান খোরশেদ আলম ভূঁইয়া। এ বিষয়ে জানতে মৌকরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি প্রার্থী খোরশেদ আলম ভূঁইয়াকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল ধরেননি।
নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক নাজির আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগের সময় হালুয়া রুটি খেয়েছে। এখন বিএনপির সুদিন আসায় স্বর খেতে আসছে। কলিমুল্লা চেয়ারম্যান ও খোরশেদ আলম ভূঁইয়া এরা আওয়ামী লীগের দালালি করেছে গত ১৬ বছর। এদের টাকার জোর আছে। কিছু বিএনপির লোক এদের টাকার লোভে পড়েছে। জেলা বিএনপি বুঝতে পেরেছে। এখানে কিছু অনিয়ম হচ্ছে। এজন্য সম্মেলন বন্ধ করে রেখেছে।