চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি :
আইনি লড়াই শেষে আদালতের রায়ে পাওয়া নিজের জায়গায় যেতে পারছেন না প্রকৃত মালিক। আদালতের রিসিভার প্রত্যাহার ও থানা পুলিশ কর্তৃক দখল বুঝিয়ে দেয়ার পর হালচাষে সশস্ত্র প্রতিরোধের মুখে পড়েন ৫ যুগেরও বেশি সময় চাষাবাদে থাকা মালিক লাল মিয়া। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া গ্রামে।
জানা গেছে, পিতার ক্রয়কৃত জমিতে ৫ যুগেরও বেশি সময় ধরে চাষাবাদ করে আসছিলেন সাতবাড়িয়া গ্রামের লাল মিয়া গং। যার বিএস রেকর্ডও নিজেদের নামে। কয়েকবছর আগে সেই জমি ওয়ারিশসূত্রে নিজেদের দাবী করে একই গ্রামের জামাল হোসেন গং। এ নিয়ে আদালতের দারস্থ হন জমির পুরনো দখলদার লাল মিয়া। মামলা চলাকালীন লাল মিয়ার আবেদনের প্রেক্ষিতে শৃঙ্খলাভঙ্গের আশঙ্কায় আদালত ২০২৩ সালের নভেম্বরে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ওই জমির রিসিভার নিয়োগ করে। আদালত বাদী, বিবাদী, স্বাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ ও প্রমাণাদি পর্যালোচনা করে গত ২০ জুলাই প্রকৃত মালিকের পক্ষে রায় দেন। আদালতের আদেশে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে শুভপুর ইউনিয়নের সাতবাড়িয়ায় সংশ্লিষ্ট জমির বিবাদী জামাল গংদের উপস্থিতিতে লাল মিয়াকে জমিটি বুঝিয়ে দেন। এছাড়া জামাল গং ভবিষ্যতে ওই জমিতে প্রবেশ করবে না বলে স্বাক্ষর করেন।
স্থানীয় মোঃ ইলিয়াস জানান, গত রোববার পুলিশের সামনে বিবাদীগন আদালতের আদেশ মেনে নিয়ে ওই জমিতে প্রবেশ করবে না বলে স্বাক্ষর দেয়। কিন্তু মঙ্গলবার লাল মিয়া জমিতে চাষ করতে গেলে জামাল গং বাঁধা দেয়।
আদালতের রায় উপেক্ষা করে বাঁধা দেয়ার প্রশ্নে বিবাদী জামাল হোসেন বলেন, ‘আমি যদি রায় উপেক্ষা করি আদালত আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে, আমি মেনে নিবো’।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আদালতের আদেশ অনুযায়ী থানা রিসিভার থেকে বাদী লাল মিয়াকে ওই জায়গা বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। বিবাদী জামাল ও জাহাঙ্গীর রিসিভার প্রত্যাহার পত্রে স্বাক্ষর করেছে। মঙ্গলবার দখলে বাঁধা প্রদান করার বিষয়ে তিনি বলেন, বাদীপক্ষ বিজ্ঞ আদালতকে অবহিত করলে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে’।