নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি || নাঙ্গলকোট উপজেলার দৌলখাঁড় ইউনিয়নের বাম মজুমদার বাড়ির সাবেক মেম্বার সামছুউদ্দিনের পুত্র মসজিদের ইমাম শহিদুল ইসলামের ঘরের তালা ভেঙ্গে আলমারিতে থাকা নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার ও আসবাবপত্র নিয়ে যায় সঙ্ঘবদ্ধ চোর চক্র। ঘটনাটি ঘটেছে ২৭ অক্টোবর গভীর রাতে। এ ব্যাপারে মসজিদের ইমাম শহিদুল ইসলাম নাঙ্গলকোট থানায় ২৯ অক্টোবর অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন আমি গত ২৪ অক্টোবর বসত ঘরে তালা লাগিয়ে আমার স্ত্রীকে ডাক্তার দেখাতে নাঙ্গলকোট নিয়ে যাই। ডাক্তার দেখাইয়ে বাড়িতে না এসে আমার কন্যার বাড়িতে বেড়াতে যাই সেখানে তিনদিন থাকার পর আমার মা ফোন করে জানান যে ঘরের তালা ভাঙ্গা দরজা খোলা একথা শুনে আমরা বাড়িতে এসে ঘরে ঢুকে দেখি ঘরে থাকা আলমারি ভেঙ্গে আলমারিতে থাকা আমার স্ত্রীর বাড়ি থেকে জমি বিক্রি করে নিয়ে আসা ৫ লক্ষ আশি হাজার টাকা ও তিন ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার, ব্যবহৃত টর্চ লাইট, কম্বল সহ গুরুত্বপূর্ণ আসবাবপত্র নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে অভিযোগ কারির স্ত্রী আফরোজা জানান আমি আমার বাপের বাড়ি থেকে জমি বিক্রি করে টাকা এনে এবং আমার একমাত্র ছেলের বিয়ের জন্য তৈরি স্বর্ণের অলংকার আলমারিতে রাখি কিন্তু চোরেরা এসব নিয়ে এগিয়ে আমাকে একেবারে নিঃস্ব করে দিয়েছে। পুত্র গোলাম রাব্বানী বলেন আমার আব্বা একজন সহজ সরল মসজিদের ইমাম তিনি ও আমার আম্মা কষ্ট করে টাকা ও স্বর্ণ অলংকারের ব্যবস্থা করেছেন কিন্তু চোর চক্র তা নিয়ে যাওয়ায় উনারা অত্যন্ত হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে, এমতাবস্থায় আমি প্রশাসনের নিকট আকুল আবেদন করছি যেন চোরদের খোঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে এবং নগদ অর্থসহ মালামাল উদ্ধার করেন। চোরেরা আমাদের নগদ অর্থ স্বর্ণালংকার আসবাবপত্র মিলিয়ে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা নিয়ে গিয়েছে। এ ব্যাপারে বিশিষ্ট সমাজসেবক ওর রাজনীতিবিদ অভিযোগকারীর ছোট ভাই মইনুল আলম জানায় একইদিন চোর চক্র মইদার কুড়া গ্রামের চট্টগ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন ডি জি ভি এর নতুন বাড়িতেও চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। এছাড়াও গত দুই সপ্তাহে আমাদের এলাকায় ১০ থেকে ১৫ টি চুরির ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে নাঙ্গলকোট থানার এ এস আই মহিউদ্দিন খন্দকার ঘটনাস্থল তদন্ত করে গেছেন তিনি জানিয়েছেন আমি ওসি সাহেবের সাথে আলোচনা করে চোরদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাব।