কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার হাতিমারা গ্রামে একটি নির্মাণাধীন এলপিজি গ্যাস ফিলিং স্টেশনে হামলা, শ্রমিকদের মারধর, চাঁদাবাজি, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ফিলিং স্টেশনের মালিক মোঃ রফিকুল ইসলাম বাবুল আদালতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে, ১৯ অক্টোবর (রোববার) বিকেল ৫টার দিকে হাতিমারা গ্রামের নির্মাণাধীন মেসার্স বাদশা এলপিজি অটো গ্যাস অ্যান্ড ফুয়েল ফিলিং স্টেশনে।
অভিযোগে জানা গেছে, ওই এলপিজি ফিলিং স্টেশনটি ২০১৯ সাল থেকে বৈধভাবে পরিচালনা করে রফিকুল ইসলাম বাবুল। সম্প্রতি ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য স্টেশনের কাজ শুরু করলে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি তা বাধা দিতে শুরু করেন এবং নিয়মিত চাঁদা দাবি করেন।
ওইদিন বিকেলে মনোহরগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক রহমত উল্লাহ জিকু (৫০), সোহান (২৭), মোঃ আবু বকর ছিদ্দিক আলমগীর (৫০), শ্রাবন (২৫), আবদুর রহিমসহ আরও ৭/৮ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি লাঠি, ছেনি ও হকিস্টিকসহ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে স্টেশনে প্রবেশ না করে। তারা বাদীর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
বাদী চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আসামিরা শ্রমিকদের এলোপাতাড়ি মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। এরপর তারা স্টেশনের মূল্যবান যন্ত্রপাতি, ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম ও অফিসের আসবাবপত্র ভাঙচুর ও লুটপাট করে নিয়ে যায়।
অভিযোগে বলা হয়, হামলাকারীরা প্রায় ২০ লাখ টাকার যন্ত্রপাতি এবং ৫ লাখ টাকার ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম লুট করে নিয়ে যায়। এছাড়া অফিসের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে আরও প্রায় ১ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে।
স্থানীয় লোকজনের চিৎকারে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ২১ অক্টোবর মোঃ রফিকুল ইসলাম বাবুল কুমিল্লা আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন।
বাদী রফিকুল ইসলাম বাবুল বলেন, “আমি একজন ছোট ব্যবসায়ী। রহমত উল্লাহ জিকুসহ এলাকার কিছু লোক আমার ব্যবসা বন্ধ করে দিতে চায়। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।”
অভিযুক্ত মনোহরগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সভাপতি রহমত উল্লাহ জিকু বলেন, আমি ঘটনার সাথে জড়িত নই। আমার আত্মীয় আলমগীরের জায়গার ভাড়া না দেয়ায় শালিসে তা মিমাংসা করে দেই। আমার ন্যুনতম কোন দোষ নেই।
মনোহরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপুল চন্দ্র বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ২৫ অক্টোবর ২০২৫
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার হাতিমারা গ্রামে একটি নির্মাণাধীন এলপিজি গ্যাস ফিলিং স্টেশনে হামলা, শ্রমিকদের মারধর, চাঁদাবাজি, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ফিলিং স্টেশনের মালিক মোঃ রফিকুল ইসলাম বাবুল আদালতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে, ১৯ অক্টোবর (রোববার) বিকেল ৫টার দিকে হাতিমারা গ্রামের নির্মাণাধীন মেসার্স বাদশা এলপিজি অটো গ্যাস অ্যান্ড ফুয়েল ফিলিং স্টেশনে।
অভিযোগে জানা গেছে, ওই এলপিজি ফিলিং স্টেশনটি ২০১৯ সাল থেকে বৈধভাবে পরিচালনা করে রফিকুল ইসলাম বাবুল। সম্প্রতি ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য স্টেশনের কাজ শুরু করলে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি তা বাধা দিতে শুরু করেন এবং নিয়মিত চাঁদা দাবি করেন।
ওইদিন বিকেলে মনোহরগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক রহমত উল্লাহ জিকু (৫০), সোহান (২৭), মোঃ আবু বকর ছিদ্দিক আলমগীর (৫০), শ্রাবন (২৫), আবদুর রহিমসহ আরও ৭/৮ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি লাঠি, ছেনি ও হকিস্টিকসহ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে স্টেশনে প্রবেশ না করে। তারা বাদীর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
বাদী চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আসামিরা শ্রমিকদের এলোপাতাড়ি মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। এরপর তারা স্টেশনের মূল্যবান যন্ত্রপাতি, ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম ও অফিসের আসবাবপত্র ভাঙচুর ও লুটপাট করে নিয়ে যায়।
অভিযোগে বলা হয়, হামলাকারীরা প্রায় ২০ লাখ টাকার যন্ত্রপাতি এবং ৫ লাখ টাকার ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম লুট করে নিয়ে যায়। এছাড়া অফিসের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে আরও প্রায় ১ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে।
স্থানীয় লোকজনের চিৎকারে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ২১ অক্টোবর মোঃ রফিকুল ইসলাম বাবুল কুমিল্লা আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন।
বাদী রফিকুল ইসলাম বাবুল বলেন, “আমি একজন ছোট ব্যবসায়ী। রহমত উল্লাহ জিকুসহ এলাকার কিছু লোক আমার ব্যবসা বন্ধ করে দিতে চায়। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।”
অভিযুক্ত মনোহরগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সভাপতি রহমত উল্লাহ জিকু বলেন, আমি ঘটনার সাথে জড়িত নই। আমার আত্মীয় আলমগীরের জায়গার ভাড়া না দেয়ায় শালিসে তা মিমাংসা করে দেই। আমার ন্যুনতম কোন দোষ নেই।
মনোহরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপুল চন্দ্র বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপনার মতামত লিখুন