• সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ০২:৪১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
লাকসাম পৌরসভার আগামী দিনের কান্ডারী;সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আশার আলো এড. বদিউল আলম সুজন নাঙ্গলকোট ডায়াবেটিস সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা লাকসামে মাংসের নামে কি খাচ্ছি : ব্যবসার নামে প্রতারনা পাথর মেরে মানুষ হত্যা দেশব্যাপী খুন ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে লাকসামে বিক্ষোভ মিছিল লাকসামে রাসেল হত্যার আসামি গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ওয়াশিংটন দূতাবাসে মিলিয়ন ডলার চুরি, ফাইল গায়েব ভুয়া এমবিবিএস পদবি ১লক্ষ টাকা জরিমানা জলাবদ্ধতা নিরসনে অবিরাম কাজ করছেন লাকসামের ইউএনও ২০ জুলাই আন্দোলনে নিহত ইউছুফের পরিবার বছর ঘুরে জুলাই তো ঠিকই আসছে, কিন্তু আমার স্বামী তো আসলো না কলকাতায় পুরোনো চোরাচালান ব্যবসায় আবার তাজুল
সর্বশেষ
লাকসাম পৌরসভার আগামী দিনের কান্ডারী;সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আশার আলো এড. বদিউল আলম সুজন নাঙ্গলকোট ডায়াবেটিস সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা লাকসামে মাংসের নামে কি খাচ্ছি : ব্যবসার নামে প্রতারনা পাথর মেরে মানুষ হত্যা দেশব্যাপী খুন ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে লাকসামে বিক্ষোভ মিছিল লাকসামে রাসেল হত্যার আসামি গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ওয়াশিংটন দূতাবাসে মিলিয়ন ডলার চুরি, ফাইল গায়েব ভুয়া এমবিবিএস পদবি ১লক্ষ টাকা জরিমানা জলাবদ্ধতা নিরসনে অবিরাম কাজ করছেন লাকসামের ইউএনও ২০ জুলাই আন্দোলনে নিহত ইউছুফের পরিবার বছর ঘুরে জুলাই তো ঠিকই আসছে, কিন্তু আমার স্বামী তো আসলো না কলকাতায় পুরোনো চোরাচালান ব্যবসায় আবার তাজুল

জেলা প্রশাসক সেজে মামলা দায়ের! লাকসামে সরকারি সম্পত্তি আত্নসাৎ এর পাঁয়তারা

Reporter Name / ৪৩ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রভাবশালী চক্র দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে সরকারি সম্পত্তি দখলে নিতে জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে। এমনই এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লার লাকসামে।
জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট কুমিল্লার বিজ্ঞ লাকসাম সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে জেলা প্রশাসকে বাদী দেখিয়ে ৮ জনকে বিবাদী করে ৫২৭/২৪ নং একটি দেওয়ানি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি ছিল সম্পূর্ণ ভুয়া এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিযোগ ওঠে। অবশেষে ২০২৫ সালের ২৯ এপ্রিল জেলা প্রশাসক ৮ নং স্মারকের মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন।
তবে মামলাটি চলমান থাকা অবস্থায় ৭ নং বিবাদী চন্দ্রবান বিবি (স্বামী: আবদুল জব্বার, সাং: লাকসাম, কুমিল্লা) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কুমিল্লার একটি সংশোধনযোগ্য নথি জ¦ল করে ২০ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে আদালতে এক সংশোধনী দরখাস্ত দাখিল করেন। যার ভিত্তিতে তাঁকে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে উক্ত অব্যাহতির কাগজ ব্যবহার করে তিনি নামজারি ও জমাখারিজের আবেদন করলে বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায় এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি), লাকসাম আবেদনটি বাতিল করেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সাবেক লাকসাম ১৯২ নং মৌজা, সিএস ২ নং খতিয়ানে ১৮০২ দাগে ৮৩ শতক ‘নাল’ শ্রেণির ভুমির মালিক ছিলেন নবীনকৃষ্ণ রায় চৌধুরী ও চন্দ্রকুমার রায় চৌধুরী। পরে আরএস খতিয়ানে নবীনকৃষ্ণ রায়ের পুত্ররা বিরেন্দ্র কৃষ্ণ রায়, জিতেন্দ্র কৃষ্ণ রায়, মুধীন্দ্র কৃষ্ণ রায়, সতীন্দ্র কৃষ্ণ রায় ও মতীন্দ্র কৃষ্ণ রায়ের নামে ৪১ শতক ভুমি ৩ নং খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত হয়। বাকি ৪২ শতক ভুমি পূর্ব পাকিস্তান সরকারের পক্ষে কালেক্টর সাহেবের নামে রেকর্ডভুক্ত হয়, যা স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সরকারের নামে ১ নং খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত হয়।
প্রশ্ন উঠেছে, সরকারি জমির মতো স্পর্শকাতর সম্পত্তিতে এমন প্রতারণা কীভাবে সম্ভব হলো? প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও আদালতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে স্থানীয় মহলে তীব্র উদ্বেগ ও সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় একাধিক সচেতন নাগরিক বলেন, “সরকারি জমি রক্ষায় প্রশাসনের আরও কঠোর ও স্বচ্ছ ভূমিকা দরকার। নয়তো ভবিষ্যতে আরও মূল্যবান সম্পত্তি হাতছাড়া হওয়ার ঝুঁকি বাড়বে।
এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।


আপনার মতামত লিখুন :
More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা