• সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ০২:৫২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
লাকসাম পৌরসভার আগামী দিনের কান্ডারী;সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আশার আলো এড. বদিউল আলম সুজন নাঙ্গলকোট ডায়াবেটিস সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা লাকসামে মাংসের নামে কি খাচ্ছি : ব্যবসার নামে প্রতারনা পাথর মেরে মানুষ হত্যা দেশব্যাপী খুন ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে লাকসামে বিক্ষোভ মিছিল লাকসামে রাসেল হত্যার আসামি গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ওয়াশিংটন দূতাবাসে মিলিয়ন ডলার চুরি, ফাইল গায়েব ভুয়া এমবিবিএস পদবি ১লক্ষ টাকা জরিমানা জলাবদ্ধতা নিরসনে অবিরাম কাজ করছেন লাকসামের ইউএনও ২০ জুলাই আন্দোলনে নিহত ইউছুফের পরিবার বছর ঘুরে জুলাই তো ঠিকই আসছে, কিন্তু আমার স্বামী তো আসলো না কলকাতায় পুরোনো চোরাচালান ব্যবসায় আবার তাজুল
সর্বশেষ
লাকসাম পৌরসভার আগামী দিনের কান্ডারী;সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আশার আলো এড. বদিউল আলম সুজন নাঙ্গলকোট ডায়াবেটিস সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা লাকসামে মাংসের নামে কি খাচ্ছি : ব্যবসার নামে প্রতারনা পাথর মেরে মানুষ হত্যা দেশব্যাপী খুন ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে লাকসামে বিক্ষোভ মিছিল লাকসামে রাসেল হত্যার আসামি গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ওয়াশিংটন দূতাবাসে মিলিয়ন ডলার চুরি, ফাইল গায়েব ভুয়া এমবিবিএস পদবি ১লক্ষ টাকা জরিমানা জলাবদ্ধতা নিরসনে অবিরাম কাজ করছেন লাকসামের ইউএনও ২০ জুলাই আন্দোলনে নিহত ইউছুফের পরিবার বছর ঘুরে জুলাই তো ঠিকই আসছে, কিন্তু আমার স্বামী তো আসলো না কলকাতায় পুরোনো চোরাচালান ব্যবসায় আবার তাজুল

আমেরিকা নেওয়ার কথা বলে ৪৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ

Reporter Name / ৩৫ Time View
Update : বুধবার, ২ জুলাই, ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার :
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিপুলাসারের প্রভাবশালী ব্যক্তি আব্দুল কাইয়ুমের বিরুদ্ধে আমেরিকা নেওয়ার কথা বলে এক আত্মীয়ের কাছ থেকে ৪৪ লাখ টাকা হাতিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলেও দীর্ঘ দিনেও টাকা ফেরত না পেয়ে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে লাকসামের স্থানীয় একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।

লিখিত বক্তব্যে মামলার বাদী মো. দ্বীন ইসলাম জানান, আব্দুল কাইয়ুমের এক ছেলে আমেরিকায় বসবাস করেন। সেই সুবাদে তিনি তার ভাগ্নে ইয়াছিন ইমুকে আমেরিকা নেওয়ার কথা বলে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন। কথা ছিল ঢাকা থেকে বিমানে মেক্সিকো নিয়ে, এরপর সড়ক পথে ১০-১২ দিনের মধ্যে আমেরিকায় পৌঁছানোর ব্যবস্থা করবেন। কাইয়ুম আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, তার ছেলে আমেরিকার বর্ডার থেকে ইমুকে নিয়ে যাবে এবং সেখানে কাজের ব্যবস্থা করে দেবে।

দ্বীন ইসলাম বলেন, “তার কথা বিশ্বাস করে ২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বর আব্দুল কাইয়ুমের সাথে চুক্তি হয়। আমরা গরিব মানুষ, অনেক চাপ দেওয়ার পর ৫০ লাখ টাকা থেকে ৪৪ লাখ টাকা দিতে রাজি হই।” চুক্তি অনুযায়ী, প্রথমে বাংলাদেশে ৪ লাখ টাকা দেওয়া হয় এবং বাকি টাকা মেক্সিকো পৌঁছানোর পর পরিশোধ করার কথা ছিল।

তিনি আরও জানান, ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর ইয়াছিন ইমুকে মেক্সিকোর উদ্দেশ্যে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে তারা বিদায় জানান। কিন্তু মেক্সিকো না নিয়ে ইমুকে নেপাল বিমানবন্দরে নামানো হয়।

ইয়াছিন ইমু জানান, তিনিসহ ৭ জন বাংলাদেশি আমেরিকাগামী যাত্রী ছিলেন। মেক্সিকো না নিয়ে তাদের নেপাল এয়ারপোর্টে নামানো হয়। এরপর দুজন নেপালি এসে তাদের একটি রিসোর্টে নিয়ে যায়। রিসোর্টে নেওয়ার পর তাদের ৭ জনকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করতে থাকে। পাসপোর্টসহ তার কাছে থাকা ২ হাজার ডলারও তারা নিয়ে নেয়। এরপর পিস্তল দিয়ে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি ও শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। নির্যাতন থেকে বাঁচতে তারা তাদের মোবাইল থেকে আত্মীয়-স্বজনদের ফোন দিতে বলেন। ইমু তার আত্মীয়কে ফোন করে জানান, তারা মেক্সিকোতে আছেন এবং বাকি টাকা দ্রুত পরিশোধ করার জন্য বলেন।

মামলার বাদী মো. দ্বীন ইসলাম বলেন, বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে আব্দুল কাইয়ুমকে ৪৪ লাখ টাকা প্রদান করা হয়। টাকা দেওয়ার পর তার ভাগ্নেসহ অন্যদের নেপাল এয়ারপোর্টে একটি গাড়িতে উঠিয়ে দেওয়া হয়। এয়ারপোর্টের কাছে তাদের নামিয়ে দেওয়া হলে পাসপোর্ট ও কাগজপত্র না থাকার কারণে নেপালি পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। নেপালি পুলিশকে সব ঘটনা বলার পর তারা বাংলাদেশ দূতাবাসে নিয়ে যায় এবং সেখান থেকে তারা দেশে ফিরে আসেন।

দ্বীন ইসলাম আরও বলেন, ঘটনা শোনার পর তারা আব্দুল কাইয়ুমকে বিস্তারিত জানান। তিনি তাদের চিন্তা না করতে বলেন এবং সমস্ত টাকা দিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন। এ নিয়ে এলাকায় বেশ কয়েকটি সালিশি বৈঠক হলেও আব্দুল কাইয়ুম নানা কারণ দেখিয়ে কোনো বৈঠকে উপস্থিত হননি। উপরন্তু, টাকা চাইতে গেলে তৎকালীন সময়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের দিয়ে হুমকি প্রদান করতেন।

২০২৪ সালে মনোহরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করা হয়। মামলা করার পর বিভিন্নভাবে হুমকি ও তার ভাগ্নে ইমুকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। টাকা না পেয়ে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সহায়-সম্বল, জমি ও স্বর্ণ বিক্রি করে আব্দুল কাইয়ুমকে এই টাকা প্রদান করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপি ও জামায়াতের সন্ত্রাসী পরিচয় দিয়ে এখনো অব্যাহতভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

বিপুলাসারে আব্দুল কাইয়ুমের একটি দোকান রয়েছে। তবে সেখানে তাকে পাওয়া যায় না। বাজারে আসলেও বিভিন্ন সন্ত্রাসী তার সাথে থাকে। এ বিষয়ে আব্দুল কাইয়ুমের ০১৭১৪-৭০৭৯১৯ নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। মোবাইল না ধরার কারণে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


আপনার মতামত লিখুন :
More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা