নিজস্ব প্রতিনিধি:
৩০ জুন কুমিল্লার লাকসামে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ইকরাম হাসানের বিরুদ্ধে দুদক চেয়ারম্যানের নিকট অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগে অজ্ঞাত ২/৩ জনের নাম রয়েছে। অভিযোগ দায়ের করছে লাকসাম পৌরসভা পুরান বাজার মহল্লার মৃত আবদুস সামাদের ছেলে আমজাদ হোসেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় নির্বাহী প্রকৌশলী ইকরাম হাসান একজন দুর্নীতিবাজ ও প্রতারক। অজ্ঞাত ২/৩ জন ইকরাম হাসানের সহযোগী। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় বাদীর আপন ভাই সাখাওয়াত হোসেন শামীম তার বাসায় দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করে আসছে তার নিজ নামের উপর একটি বৈদ্যুতিক মিটার রয়েছে। বাদীর ভাই নিয়মিত উক্ত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ এর মাধ্যমে ব্যবহার করে আসছে। এই প্রেক্ষিতে হঠাৎ একদিন কবেকার আমলের মাসুক মিয়া নামে একটি বিদ্যুৎ মিটারের বকেয়া আদায়ের লক্ষ্যে অভিযান করে ইকরাম হাসান । দুর্নীতি করার জন্য ইকরাম হাসান মাসুক মিয়া কে শাখাওয়াত হোসেন শামীম-ই মাসুক মিয়া বলে প্রথমত একটি নোটিশ সাখাওয়াত হোসেন শামীমকে প্রদান করেন। সঠিক তথ্য জানার জন্য সাখাওয়াত হোসেন শামীম লাকসাম বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগে মাসুক মিয়ার তথ্য বিবরণী জানার জন্য একটি আবেদন করে। পরবর্তীতে বিদ্যুৎ অফিস থেকে সাখাওয়াত হোসেন শামীমকে লিখিত একটি তথ্য প্রদান করে যে মাসুক মিয়ার কোন তথ্য তাদের অফিসে কোন রেকর্ড নাই। এমতাবস্থায় ইকরাম হাসান বাদীর ভাইকে গত ২০/০১/২০২৫( মামলা নং ৩২১/২০২৪ সিআর) লাকসাম থানা পুলিশের মাধ্যমে তাকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠায়। বাদীর ভাই এর নামে বিবাদীর দপ্তরে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে মর্মে মিথ্যা মামলা রুজু করা হয়েছে । ইকরাম হাসান এর দায়েরকৃত ভুয়া মামলায় প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সরকারি কোষাগারে জরিমানা প্রদান সহ সর্বমোট ৮৫০০০ (পঁচাশি হাজার) টাকা ব্যয় করতে বাধ্য হয় বাদীর পরিবার। উক্ত মামলার কারণে বাদীর ভাইকে মানুষিক হয়রানি সামাজিকভাবে সম্মানহানি ও অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়তে হয়েছে। দুদক এ অভিযোগের বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী ইকরাম হাসান বলেন, যে কেউ আমার নামে অভিযোগ দায়ের করতে পারে, আমি বাঁধা দিতে পারি না। অভিযোগকারী আমজাদ হোসেন বলেন, আমার ভাইয়ের সঙ্গে দুর্নীতি করা হয়েছে, দুদক, চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দায়ের করছি, তদন্তে সত্যি মিথ্যা বাহির হবে।