লাকসাম প্রতিনিধি
২৯ জুন (রবিবার) দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে লাকসাম জংশন বাজারের রেলওয়ের জায়গা দখলমুক্ত অভিযান পরিচালনা করা হলে মবের মাধ্যমে তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অভিযান পরিচালনা করেন রেলপথ মন্ত্রণালয় এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর ও বাংলাদেশ রেলওয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা তঞ্ঝাগ্গা চাকমা। এ সময় লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও) সহ প্রশাসনের কর্তাব্যাক্তিগন উপস্থিত ছিলেন।
সকালে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, বাজার কমিটি, লাইসেন্সিদের সাথে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের একটি আলোচনা হয়। এরপর অভিযানে কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শেষে, ইউএনও লাকসাম চলে যান। এরপর ভূসম্পত্তি কর্মকর্তার নেতৃত্বে লাকসাম জংশন বাজারে রেলওয়ের জায়গায় অবৈধ দোকানদারদের দখল উচ্ছেদ অভিযান শুরু হলে, অবৈধ দোকানদারদের একাংশের মবের মুখে তা থেমে যায়। মুরগী দোকানদার সুমন ও আহাদের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জনের একটি দল লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র হাতে লাইসেন্সিদের উপর হামলা করে। সেখানে এক পর্যায়ে দায়িত্বরত সংবাদকর্মীর উপরও হামলা করে বসে তারা। বাজারের পরিস্থিতি থমথমে।
জংশন বাজার কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে আসা কর্মকর্তাদের জানান ১৫ দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধান করবেন, এখন যেন উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করা হয়। এর পরপরই উচ্ছেদের বিপক্ষে থাকা মুরগী দোকানদার সুমন ও আহাদের নেতৃত্বে তরকারি বাজারের কিছু উশৃংখল অবৈধ দোকানদার লাইসেন্সিদের টার্গেট করে আক্রমণ করে। এতে লাঞ্ছিত হয় লাইসেন্সি আব্দুল করিম। এক পর্যায়ে দৈনিক মাতৃছায়া পত্রিকার লাকসাম প্রতিনিধি ও লাকসাম প্রেসক্লাবের সদস্য জি.এম.এস রুবেল মবের মুখে পড়লে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাকে রক্ষা করে।
উল্লেখ্য রেলের জায়গায় লাকসাম জংশন বাজারে প্রায় দুইশত দোকান তৈরি করে দীর্ঘদিন অবৈধ ভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলো অবৈধ দখলদাররা। একপর্যায়ে ২০১৯ সালে রেল কর্তৃপক্ষ প্লটগুলো খালি দেখিয়ে টেন্ডারের মাধ্যমে বরাদ্দ দেয়। এরপর অবৈধ দখলদাররা তৎকালীন আওয়ামী লীগের কর্তাব্যক্তিদের ম্যানেজ করে উচ্ছেদ ঠেকিয়ে রাখে। লাইসেন্সিদের ৫ বছরের অপেক্ষার অবসান অদ্য ২৯ জুন (রবিবার) ঘটতে যাচ্ছিলো, কিন্তু মবের মুখে তা অনিশ্চিত হয়ে গেছে।
লাইসেন্সিদের উপর বাজারের কতিপয় দুষ্কৃতকারী হামলার বিষয়টি বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেনকে জানালে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে আসা রেলপথ মন্ত্রণালয় এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর ও বাংলাদেশ রেলওয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা তঞ্ঝাগ্গা চাকমাকে পরিস্থিতি প্রতিকূল হওয়ার পর থেকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে তার বক্তব্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।