লাকসাম প্রতিনিধি :
লাকসাম পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, উক্ত কামাল হোসেন ২০০৯ সালে ৯ম ক, ৯ম খ, ৯ম গ, শাখার শ্রেণী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে ছাত্রীদের নিকট থেকে জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ ২০০৯ মাসের বেতন বিনা রশিদে উত্তোলন করে স্কুল ক্যাশে ওই টাকা জমা করেনি। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হিসাব রক্ষণ নির্দেশিকা ও ফাইন্যান্সিয়াল রুলস অনুযায়ী বিদ্যালয়ের দৈনন্দিন আয়ের টাকা বিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব খাতে জমা দিতে হয়। কিন্তু উক্ত সহকারি শিক্ষক কামাল হোসেন বিনা রশিদে ছাত্রীদের নিকট থেকে উত্তোলিত ৬০ হাজার টাকা বিদ্যালয়ের হিসাব খাতে জমা না দিয়ে বিধিবহির্ভূতভাবে হাতে রেখে খরচ করেছেন, যাহা বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাতের শামিল। উক্ত টাকা লাকসাম পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের হিসাব খাতে জমা না দেওয়ায় তৎকালীন সময়ের লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এ কে এম মামুনুর রশিদ উক্ত কামাল হোসেনকে ২ এপ্রিল ২০০৯ সালে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ওই টাকা স্কুল হিসাব খাতে জমা দেওয়ার নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়নি। স্কুলে টাকা জমা দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন সহকারী শিক্ষক কামাল হোসেন। সুত্র জানিয়েছে ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রসরাজ দাস কর্তৃক প্রণীত শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতার তালিকায় ৮ নাম্বারে থাকা কামাল হোসেন সাতজনকে পিছনে ফেলে বর্তমানে সহকারি প্রধান শিক্ষকের(ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব পালন করছেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রসরাজ দাস স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাউছার হামিদকে ভুল তথ্য দিয়ে উক্ত কামাল হোসেনকে সহকারী প্রধান শিক্ষক বানিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।