বিশেষ প্রতিনিধি :
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক এক চেয়ারে ১১ ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিগত ৩০/১২/২০১৪ খ্রিঃ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ওমর ফারুক কে চট্টগ্রাম বন্দর সচিব হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। আওয়ামী লীগের বিশ্বস্ত লোক হওয়ার কারণে ওমর ফারুক কে সচিব হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ভারতের সাথে যতগুলো চুক্তি হয়েছে সবগুলো চুক্তির সাথে সচিব ওমর ফারুক জড়িত। ৫ই আগষ্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর প্রশাসনে অনেক আওয়ামী ক্যাডার সচিব কে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে কিন্তু বন্দর সচিবের এখন পর্যন্ত কিছু করা হয়নি। বন্দর সচিব ওমর ফারুক দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, মানবাধিকার লংঘন, অর্থ পাচারসহ নানা অপরাধে অভিযুক্ত। সচিব ওমর ফারুক নিজের অপরাধ রাজ্য আড়ালে রাখতে কিছু সাংবাদিক ও কিছু রাজনৈতিক নেতাদের ব্যবহার করে আসছে। তথ্য কমিশনের অভিযোগ ১১২/২০১৯ সূত্রে জানা যায়, বন্দর সচিব দুর্নীতি ও মানবাধিকার লংঘন এর তথ্য যাতে বাহির না হয় সেজন্য সাংবাদিক রিয়াজ মোর্শেদ মাসুদ বিরুদ্ধে গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগ দায়ের করে ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা রুজু করে জেলে প্রেরণের ষড়যন্ত্রের গডফাদার। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র এজেন্ট ও আওয়ামী লীগের দোসর এখনও কেপিআই ও আইএসপিএস এলাকা চট্টগ্রাম বন্দরে সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে।
সুশীল সমাজের প্রত্যাশা চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক কে বরখাস্তসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবে নৌ পরিবহন ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।