লালমাই প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার লালমাই উপজেলার পেরুল উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ৩ বছরে তথ্য কমিশনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না করার অভিযোগ উঠছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৮/৯/২০২০ তারিখ ৩জন সাংবাদিক ইউপি সচিবের নিকট ২০১৩-১৪ অর্থ বছর হতে ২০১৭-১৮ অর্থ বছর পর্যন্ত এলজিএসপি ও ১% প্রকল্পে নাম ঠিকানা ও অর্থ বরাদ্দের তথ্য পাওয়ার জন্য আবেদন করে। ২০/ কার্যদিবসে ইউপি সচিব তথ্য সরবরাহ না করায় গত ২৫/১০/২০২০ তারিখ চেয়ারম্যান ও আপীল কর্মকর্তা আবুল বাসার ও ২৪/১১/২০২০ জেলা প্রশাসক ও আপীল কর্মকর্তার নিকট আপীল আবেদন করা হয়। আপীল কর্মকর্তা ১৫/ কার্যদিবসে তথ্য সরবরাহে সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হওয়ায় গত ২/২/২০২১ তারিখ তথ্য কমিশনে অভিযোগ দায়ের করা হয়। গত ২৯/৩/২০২১ তারিখ তথ্য কমিশনের ট্রাইব্যুনালে অনলাইনে শুনানি করা হয়। শুনানি শেষ তথ্য কমিশন যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে তা হলো “উপর্যুক্ত পর্যালোচনা অনুযায়ী এই সিদ্ধান্তপত্র প্রাপ্তির ০৭ কার্যদিবসের মধ্যে অভিযোগকারীগনের যাচিত তথ্য অর্থাৎ এলজিএসপি ও ১% প্রকল্পের নাম ঠিকানা এবং অর্থ বরাদ্দের পরিমাণ তালিকাসহ ( ২০১৩-১৪ অর্থ বছর থেকে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরসহ চলমান অর্থবছর), তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ অনুযায়ী ওয়েবসাইটে প্রকাশের জন্য সচিব ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা,৫নং পেরুল উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা লালমাই, জেলা কুমিল্লা- কে নির্দেশ দেয়া হলো।”
৭ কার্যদিবস অতিবাহিত হওয়ার পর ৩ বছর শেষ হয়েছে কিন্তু ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়নি। অভিযোগকারী তিন সাংবাদিক হলেন, প্রদীপ মজুমদার, মাসুদ রানা ও রিয়াজ মোর্শেদ মাসুদ। এব্যাপারে লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিমাদ্রী খীসা বলেনবিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। এটা প্রায় ৩বছর আগের বিষয়। তাই জেনেই পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।