লাকসাম প্রতিনিধি :
লাকসাম উপজেলার ৭ নং আজগরা ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের পিতা আব্দুল লতিফের বাইপাসের চৌদ্দগ্রাম রোডে অবস্থিত মরহুম হাজী আব্দুল লতিফ মজুমদার হাউজের আবাসিক ভবনে অবৈধভাবে পানিসংযোগ নেওয়ার অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে লাকসাম পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, লাকসাম পৌরসভার পানি শাখার দুইজন লাইনম্যান ওই ভবনে অবৈধভাবে পানির সংযোগ নেওয়ার খবর ৪ মার্চ লাকসাম পৌর কর্তৃপক্ষকে জানায়।
ওই খবরের ভিত্তিতে ১০ মার্চ লাকসাম পৌরসভার প্রশাসক মোঃ কাউছার হামিদ অবৈধ সংযোগ গ্রহণ কারীদেরকে নোটিশ প্রদান করেন।
নোটিশে বলা হয়, লাকসাম পৌর কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত পৌরসভার পানি সরবরাহ লাইন থেকে অবৈধভাবে ১.৫ ইঞ্চি ডায়া বিশিষ্ট দুটি সংযোগ লাইন নির্মাণ করেন যা স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন ২০০৯ ও পৌরসভা পানি সরবরাহ ব্যবস্থাপনা নির্দেশিকা ২০২৩ লংঘন।
ফলে আপনাদের বিরুদ্ধে কেন অবৈধ গ্রহনকৃত ৬টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন সহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার লিখিত জবাব আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে নিম্ন স্বাক্ষরকারী বরাবর প্রদান করার জন্য বলা হলো।
পৌরসভার ওই নোটিশের প্রেক্ষিতে নজরুল চেয়ারম্যানের ভাই জহিরুল ইসলাম যার (গ্রাহক নং ১৪৩৯,১৪৪০) পত্র মারফত পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে তার অবৈধ সংযোগ সম্পর্কে জানতো না বলে জানিয়ে ক্ষমা চেয়ে অবৈধ সংযোগগুলি বৈধ করার আবেদন করেন।
ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৩ এপ্রিল লাকসাম পৌর কর্তৃপক্ষ তাদেরকে পুনরায় নোটিশ দেয় এবং ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে পৌর কর্তৃপক্ষকে জানানোর নির্দেশ দেয়।
উক নির্দেশের পর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ২৯ এপ্রিল জহিরুল ইসলাম লাকসাম পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন।
সূত্র জানিয়েছে, লতিফ হাজির ভবনে লাকসাম পৌরসভার ১ ইঞ্চি ছয়টি পানির সংযোগ রয়েছে।
এই ছয়টি সংযোগের বাহিরে ৪ ইঞ্চি মেইন লাইন থেকে তারা দেড় ইঞ্চি দুইটি অবৈধ সংযোগ নেয়।
এই অবৈধ সংযোগের খবর পেয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ ওই সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলে তারা উক্ত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করে।
এ বিষয়ে আজগরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানের ভাই জহিরুল ইসলাম বলেন, আমরা অবৈধ সংযোগ নেইনি। লাইন নির্মাণ করেছে সেনেটারী মিস্ত্রি যুবদল নেতা আবুল বাশার প্রয়োজনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
লাকসাম পৌরসভার পানি ও পয়নিস্কাশন বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী পবিত্র ভূষণ পাল বলেন, পৌরসভার লাইনম্যানগণ সরজমিন পরিদর্শন করে অবৈধ সংযোগের রিপোর্ট দিলে পৌর কর্তৃপক্ষ তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়।
ওই নোটিশের প্রেক্ষিতে তারা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।