রিয়াজ মোর্শেদ মাসুদ:
নোয়াখালীর চাপরাশিরহাট ইসমাইল ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রদলের কমিটিতে ২ জন ছাত্রলীগকর্মীকে পদ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগের তীর কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বিরুদ্ধে গিয়েছে। নাছির উদ্দীন নাছির নোয়াখালী জেলার সুরর্ণচর উপজেলার বাসিন্দা। নাছির উদ্দীন নাছির জেলা ও কবিরহাট উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের সাথে সমন্বয় না করে পকেট কমিটি অনুমোদন দেওয়ায় ফেসবুক ও চা দোকানে আলোচনা সমালোচনা ঝড় চলছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ- পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও নোয়াখালী ৫ আসনের ( কোম্পানিগন্জ- কবিরহাট উপজেলা) সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ এর পরামর্শ ও মতামত কমিটি গঠনে গ্রহন করা হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ মার্চ ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির নোয়াখালী জেলার কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইসমাইল ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রদলের ৫ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটির অনুমোদন দিয়েছে। ৫ সদস্য কমিটির সভাপতি নুর ইসলাম সাইমুন ও সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ফরিদ ২জনকে নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, তারা মুলত নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী। সাধারণ সম্পাদক পদে যাকে দেওয়া হয়েছে সে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জহির উদ্দিন জহির ভাতিজা ইমাম হোসেন রাহুল, রাহুল বিগত দিনে ছাত্রদলের রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ছিল, চাচার দোয়ায় সাধারণ সম্পাদক পদ দেওয়া হয়েছে । বাকী ২ জন সিনিয়র সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম রিমন ও যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সাবিত ইবনে কিবরিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ নাই। ৫ জনের মধ্যে ৩ জন নিয়ে প্রশ্ন উঠায় কমিটি গঠন নিয়ে অবৈধ লেনদেন করার গুঞ্জন শুনা যায়। কমিটি গঠন করার আগে কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিনিধি নোয়াখালি জেলা সফর করছে। পকেট কমিটির ষড়যন্ত্রের সাথে জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য গোলাম মমিত ফয়সালের নাম শুনা যাচ্ছে ।পকেট কমিটির অনুমোদন নিয়ে নোয়াখালীর ও উপজেলার রাজনীতি উত্তপ্ত হচ্ছে। স্থানীয় নেতাকর্মীরা ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির অবৈধ কার্মকান্ড বন্ধে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।