মহসিন সোহাগ:
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা শাখা ৫১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয় ০৮/০৩/২০২৫ সালে। গুরুতর অভিযোগ সাইফুল ইসলাম মিজি সাইফ, ৪নং যুগ্ম আহ্বায়ক এই কমিটির। মুলত এই সাইফুল ইসলাম মিজি সাইফ হলো ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর। তার বাড়ী নাঙ্গলকোট থানায়। যখন নাঙ্গলকোর্ট থানায় কোন নেতাকর্মী হামলা মামলা নিয়ে এলাকায় থাকতে পারে নাই সে মুহুর্তে এই সাইফুল মিটিং করে নাঙ্গল কোর্ট থানার ফ্যাসিস্ট এর অন্যতম দোসর ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসী, উপজেলা চেয়ারম্যান, শামসুদ্দিন কালুর সাথে। আবার সাংবাদিক নামের কলঙ্ক, বাংলাদেশ প্রতিদিন এর সাবেক সম্পাদক ফ্যাসিস্ট এর অন্যতম দোসর নঈম নিজামকে সে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করে। এই নঈম নিজামের সঙ্গেও ছিল এই সাইফুলের গভীর সখ্যতা। আবার জোড্ডা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল হককেও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এই সাইফুল ইসলাম মিজি সাইফ, যেখানে স্বৈরাচারের অত্যাচারে নেতাকর্মী থাকতে পারতো না এলাকাতে সেখানে এই সাইফুল কিভাবে আওয়ামীদের সাথে আতাত করেছিল। তা এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। আবার নাঙ্গলকোর্ট উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের জেলা সহ সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিমের সাথেও এই সাইফুল ইসলাম মিজি সাইফের ছিল গভীর সখ্যতা। আবার ঢাকা শাহবাগের সন্ত্রাসী যুবলীগের সেলিমের সাথেও ছিল তার দহরম মহরম সম্পর্ক। এই ধরনের ফ্যাসিস্ট দোসররা যদি এই সব কমিটিতে স্থান পায় তাহলে ছাত্র জনতার এই গনঅভ্যুত্থানকে কলঙ্কিত করা হবে। তাই অতি তাড়াতাড়ি কমিটি থেকে ফ্যাসিস্ট দোসরদেরকে বাতিল করা হোক। বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এই সাইফুল ইসলাম মিজি সাইফের নাম কমিটিতে আমরা দেই নাই। এই নাম কেন্দ্রীয়ভাবে দেওয়া হয়েছে। আমি এর প্রতিবাদও করেছিলাম। আবার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইমাম হোসেন ফারুকের সাথে কথা বললে তিনিও বলেন এই নাম কেন্দ্র থেকে দেওয়া হয়েছে। তাহলে কেন্দ্র থেকে যারা এই নাম দিল তারাও ফ্যাসিস্টের দোসর। এদেরকে খুঁজে বের করতে হবে। এই যদি হয় অবস্থা তাহলে ত্যাগী নেতাকর্মীরা অচিরেই হারিয়ে যাবে।