লাকসাম প্রতিনিধি :
কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার মুদাফফরগঞ্জে এখন চলছে শরীফীয় শাসন চাঁদাবাজী, দখল, ভাঙচুর, লুটতরাজসহ সৈয়দ শরীফের বিভিন্ন নেতিবাচক কর্মকান্ডে এলাকায় বিএনপি’র জনপ্রিয়তা ও ভাবমূর্তি এখন তলানিতে। সৈয়দ শরীফ হোসেন বহুল আলোচিত লেদু মিয়া চেয়ারম্যানের ভাতিজা। তাই রামরাজত্ব চালিয়ে আসছেন উত্তরাধিকার সূত্রে।এলাকায় লেডিকিলার হিসেবেও তার রয়েছে অনেক খ্যতি। বিগত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে তিনি আওয়ামীলীগের সাথে হাত মিলিয়ে ক্ষমতার ষোলকলা পূর্ণ করেন। আওয়ামীলীগের ছত্রছায়ায় থেকে ভাইস চেয়ারম্যান মহাব্বত আলী ও শাহীন চেয়ারম্যানকে ম্যানেজ করে চালিয়েছেন সিন্ডিকেট বানিজ্য। মুদাফফরগঞ্জ জেলা পরিষদ মার্কেটের দোকানঘর হাত বদলের মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। ৫ আগস্টের পর এলাকায় চাঁদাবাজি ভাঙচুর ও লুটতরাজের মাধ্যমে তিনিএখন বিপুল অর্থ বিত্তের মালিক। এ যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ। তার বাধায় আটকে যায় এলাকায় টেন্ডার, সিন্ডিকেট, ঠিকাদারিসহ প্রায় সকল কাজই। সৈয়দ শরীফ ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করতে তার বাড়ীর সামনে একটি শতবর্ষী রাস্তার কাজ ঝুলিয়ে রেখেছেন দেড়যুগ ধরে। উপজেলা হেডকোয়াটার লাকসামে যাতায়াতের জন্য পাশাপুর, বামন্ডা, ডিমাতলি, হলুদিয়া ও আশেপাশের গ্রামের জনসাধারণ ও -শিক্ষার্থীদের জন্য শতবছরের সরকারী খতিয়ান ভুক্ত রাস্তাটি নির্মানে বাধা দিয়ে সরকারের উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে আসছেন। শতবর্ষি এই রাস্তাটি নির্মাণের বাঁধা দিয়ে ঘৃনিত ও নিন্দিত ছৈয়দ শরীফ হোসেন।
এলাকায় রাস্তা খেকো শরীফ হিসেবে তার আরেক পরিচিতি। পশাপুর মিয়াবাড়ি হতে বামন্ডা পর্যন্ত পাকাকরনের কাজ বহুবার টেন্ডার হওয়ার পরও সৈয়দ শরীফের বিরোধীতা আর চাঁদাবাজির কারনে সম্ভব হয়নি। বিগত ১৭ বছর আওয়ামীলীগকে ব্যবহার করেছেন তিনি। ভাইস চেয়ারম্যান মহব্বত আলীকে ম্যানেজ করে উক্ত রাস্তা প্রকল্প থেকে বাদ দেন । এখন বিএনপির দোহাই দিয়ে আদাজল খেয়ে বিরোধিতা করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি রাস্তটি পুণ:টেন্ডার হলে কাজ শুরু করেন ঠিকাদার। কিন্তু এতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে সৈয়দ শরীফ। রাজনৈতিকভাবে তিনি সাবেক এমপি কর্ণেল অবঃ আনোয়ার উল আজিম সমর্থক। যে কারনে নিজের এলাকা হওয়া সত্বেও বিএনপির কেন্দ্রীয় শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মো:আবুল কালামের বিভিন্ন ভালো কাজের বিরোধিতা করে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন ও দলীয় কোন্দল তৈরির মাধ্যমে মুদাফফর গন্জে বিএনপির ভাবমুর্তির বারোটা বাজিয়েছেন। সৈয়দ শরীফের এহেন নেতিবাচক কর্মকান্ডের এলাকাবাসী বিএনপির উপর মহা ক্ষুব্ধ। এধরণের সমাজ বিরোধী দুর্নীতিকে দল থেকে বহিষ্কারের জন্য জননেতা তারেক রহমানের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। সেইসাথে শতবর্ষী এই রাস্তাটি টেন্ডারে পাকাকরণের কাজ সম্পন্ন করতে এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার,থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও যৌথ বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।