স্টাফ রিপোর্টার :
জাতীয় প্রধান ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশের একাধিকস্থানে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ জমায় মহাসড়কের সৌন্দর্য নষ্টের পাশাপাশি বায়ু দুষণও বাড়ছে। প্রতিদিনই বিরামহীন আবর্জনা ফেলা মাইলের পর মাইল স্তুপ জমে আশপাশের পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রশাসনিক কর্মকর্তা বা পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনই খেয়াল নেই এটা নিয়ন্ত্রণে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কটি বাংলাদেশের লাইফ লাইন। সারাদেশের আমদানী-রপ্তানীর সিংহভাগ এই মহাসড়ক পথেই সম্পন্ন হয়। এছাড়াও পর্যটন খ্যাত কক্সবাজার , সেন্টমার্টিন, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, কাপ্তাই, খাগড়াছড়ি, রামগড় ,চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষèীপুর, চাঁদপুর জেলায় সারাদেশ থেকে যাতায়াতের প্রধান ও একমাত্র সড়ক এটা। প্রতিদিন কমপক্ষে ২০ হাজারের অধিক অত্যাধুনিক ও দ্রুতগতির বিলাসবহুল যানবাহনে কওে হাজার হাজার দেশী-বিদেশী পর্যটক, ভ্রমন পিপাসু এই সড়ক পথে উল্লেখিত জেলার, উপজেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলোতে যাতায়াত করে এই মহাসড়ক পথে। এসময় ভ্রমন পিপাসুরা যানবাহন থেকে বাইরের দৃশ্য উপভোগ করলেও কুমিল্লার কুমিল্লা অংশের চান্দিনা,বুড়িচং,আদর্শ সদর,সদর দক্ষিণ উপজেলার বিভিন্ন এলাকাজুড়ে সড়কের পাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ময়লা-অবর্জনার স্তুপের উৎকট গন্ধে মুখ ফিরিয়ে নেয়। অবাধে খোলাস্থানে এভাবে ময়লা ফেলায় সামান্য বাতাসে দুর্গন্ধ যেমন ছড়িয়ে পড়ে মাইলের পরম মাইল,তেমনি সামান্য বৃষ্টিতে ময়লা-আবর্জনা পচেঁ-গলে সড়কের উপর ছড়িয়ে পড়ছে। এতে যানবাহনের যাত্রী,চালকদেও পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট এলাকার পথচারী ও সাধারন মানুষদেরও চরমদুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। একাধিক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট এলাকার দায়িত্বশীল সুত্র জানান, প্রতিদিনই মহাসড়কের পাশে অবাধে গড়ে উঠছে আবাসিক হোটেল,রেস্টুরেণ্ট, হাট-বাজার,বহুতল ভবন,দোকান-পাটসহ নানা প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব কোন ময়লা-আবর্জনা ফেলার স্থান না থাকায় কোন কোন স্থানে দিনের বেলা আবার কোথাও বা রাতের আধাঁরে রিক্সা,ভ্যান বা ছোট কাভার্ডভ্যানে করে বহুতল ভবন ,হোটেল-রেষ্টুরেন্টের প্রতিদিনের উচ্ছিষ্ট,পচা-বাসি,পরিত্যক্ত জিনিস এমনকি মৃত গরু বা জবাইকৃত গরু-ছাগলের উচ্ছিষ্ট সড়কের পাশে ফেলছে। এতালিকায় বাদ নেই চান্দিনা পৌরসভা,নিমসার কাঁচাবাজারের ময়লা-আবর্জনাও। আর এই পঁচা-বাসী,পরিত্যাক্ত জিসিনপত্র পঁচে-গলে রাস্তায় ছড়াচ্ছে কখনো কখনো আগুন ধরিয়ে পোড়ানো হচ্ছে। এতে করে মহাসড়কটির কুমিল্লা অংশের উল্লেখিতস্থানগুলোতে চরমভাবে বায়ু দূষন বাড়ছে প্রতিদিন। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোর স্থানীয় প্রশাসন বা পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন দেখভালোর নজর নেই। কখনোবা স্থানীয় পর্যায়ে আবাসিক বা হোটেল রেষ্টুরেন্ট,বহুতল ভবন বা হাউজিং প্রকল্পের লোকজনদের বাঁধা দিলেও নানাভাবে হয়রানীর শিকার হতে হচ্ছে।