ক্রাইম রিপোর্টার
নাঙগলকোট উপজেলার পেরিয়া ইউনিয়নের চান্দুর গ্রামের সাইফুল। পুরো নাম মোঃ সাইফুল ইসলাম। চাকরি করতো বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের একটি কিন্ডারগার্টেনে। চাকরির সুবাধে পরিচয় হয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য,ও বাঙ্গড্ডা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান মজুমদারের সাথে। শাহাজাহান পরিবার নিয়ে কোথাও বেড়াতে গেলে সাথে নিয়ে যেতেন সাইফুলকে। দায়িত্ব পালন করতেন ফটোগ্রাফারের। শখের বশে নেশা আসে সাংবাদিকতার। বাংলাদেশ আলো নামক নামকাওয়াস্ত পত্রিকার আইডি কার্ড ঝুলিয়ে বনে যান নামে মাত্র সাংবাদিক।
এরপর ফেসবুকে বর্তমান টিভি নামক আইডির এডমিন শাহাদাতের সঙ্গে যুক্ত থেকে বর্তমান টিভির সাংবাদিক পরিচয়ে ঘুরে বেড়াতেন। একপর্যায়ে শাহাদাতের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হলে নিজেই বর্তমান টেলিভিশন নাম দিয়ে একটি ফেসবুক পেজ খুলেন এবং বর্তমান টিভির মালিক পরিচয়ে পুরো নাঙ্গলকোট দাবড়িয়ে বেড়ান ।
পেরিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুনের সাজানো নাটকে অর্থাত বর্তমান চেয়ারম্যান এম এ হামিদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এক পতিতার বক্তব্যে নিয়ে কথিত ধর্ষণের সংবাদ প্রচার করে সাইফুলের বর্তমান টিভি। হুলুদ সাংবাদিকতার অভিযোগে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা হয় তার বিরুদ্ধে ।
মামলা মোকাবিলার খরচ পেতে হুমায়ুন চেয়ারম্যান উপর নির্ভর হয়ে পড়েন। হুমায়ুন চেয়ারম্যান সাইফুলকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে বিএনপি জামায়াত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা মোকদ্দমা করতে থাকেন ।
হুমায়ুন চেয়ারম্যান সাইফুলের কাজের প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে তাকে জাতীয় পত্রিকার সাংবাদিক বানাতে বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক নঈম নিজামকে অনুরোধ করেন এবং হুমায়ুন সাইফুলকে ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে উপস্থাপন করেন। ফলে সমকাল পত্রিকার নাঙ্গলকোট উপজেলা প্রতিনিধি পদে নিয়োগ পান।
সাইফুল আগে ছাত্রলীগ নেতা পরিচয়ে অনেক আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে ফটোশেশন করেন, তারমধ্যে পলাতক নেতা সাবেক অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা ওরফে লোটাস কামালের ভাই মোঃ হামিদ মিয়া, হুমায়ুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর হুমায়ুনের সাথে ফুলের মালা গলায়, শাহজাহান চেয়ারম্যানের সাথে ফটোসেশন, অপসারিত মেয়র ও যুবলীগ নেতা আবদুল মালেক, নাঙ্গলকোট থানার পুলিশ কর্মকর্তা, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ সভাপতি রুবেল সহ আওয়ামীলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সাথে। এসকল ছবি প্রদর্শন করে প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় হুমকি দিয়ে অনৈতিক সুবিধা আদায় করার অভিযোগ ছিল অহরহ।
৫ আগষ্ট ফ্যাসিস্টের বিদায়ের পর কথিত সাংবাদিক সাইফুল গিরিগিটির মত রং পাল্টিয়ে এখন বিএনপি জামায়াত ঘরানার সাংবাদিক সেজে নাঙ্গলকোটের সলকারি অফিস পাড়ায় তাফালিংয়ে মত্ত। চাঁদাবাজি,ও তবদীর বানিজ্য করছেন উপজেলা ব্যাপী । ফলে তিনি এখন মস্তবড় সাংঘাতিক।