স্টাফ রিপোর্টার
কুমিল্লা আদালত প্রাঙ্গনে মানববন্ধন করেছেন আয়েশা আক্তারসহ এলাকাবাসী, দাবী করেছেন স্ত্রী ও সন্তানের স্বীকৃতি। নাঙ্গলকোট উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে এই মানববন্ধন করা হয়।
২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর নাঙ্গলকোট থানায় আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন আয়েশা আক্তার। অভিযোগ রয়েছে, তিনি বিভিন্ন সময়ে আয়েশা আক্তারকে ধর্ষণ করেন এবং গর্ভবতী হওয়ার পর গর্ভপাতের জন্য চাপ দেন। এতে রাজি না হলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালান।
আদালতের নির্দেশে শিশুর ডিএনএ পরীক্ষার আদেশ প্রদান করা হলেও অভিযোগ রয়েছে, আব্দুর রশিদ টাকার বিনিময়ে ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল পরিবর্তন করেন এবং আদালত থেকে অব্যাহতি পান। বাদী উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন এবং ১৭ জানুয়ারি দুপুরে অভিযুক্ত আব্দুর রশিদ আদালতে হাজির হন। এ সময় এলাকাবাসী ন্যায় বিচারের দাবিতে আদালতের প্রথম ফটকের সামনে মানববন্ধন করেন।
স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবি, আব্দুর রশিদ ভূঁইয়া এমপি মন্ত্রীদের প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছেন এবং ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যান। তৎকালীন প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
আয়েশা আক্তার বলেন, “বাসা ফাঁকা থাকলেই তিনি আমাকে ধর্ষণ করতেন। একপর্যায়ে আমি গর্ভবতী হলে তিনি আমাকে বিভিন্ন মানুষের নাম বলতে বলেন এবং এর বিনিময়ে টাকার প্রলোভন দেখান। আমি সন্তান প্রসব করে ৪ নভেম্বর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও গর্ভপাতের অভিযোগে থানায় মামলা করি।”
কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, “৫ই আগস্টের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা তাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে।”
আদালত থেকে বাড়িতে যাওয়ার সময় বিক্ষুব্ধ জনতার তোপের মুখে পড়েন আব্দুর রশিদ। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে মারধর করে কোতয়ালী থানা পুলিশে সোপর্দ করেন।