নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার পেরিয়া ইউপির ৮৯ নং মগুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাব্বেত রহমানের বিরুদ্ধে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের বেঞ্চ, টেবিলসহ আসবাবপত্র কোন রকম টেন্ডার ছাড়াই স্কুলের উত্তর পাশে মগুয়া বাজারের রুবেল এর ভাঙ্গারী দোকানে বিক্রি করে দেন। তিনি ভালো বেঞ্চ গুলো ভেঙ্গে বেঞ্চের রড এবং কাঠ আলাদা করে বিক্রি করেন। এছাড়া বিদ্যালয়ের সোলার প্যানেলের আইপিএসের ব্যাটারি ও পুরনো বই, পরীক্ষার খাতা বিক্রি করে দেয়। বিদ্যালয়ের ল্যাপটপটি ও সে বাড়িতে নিয়ে যায়। কয়েক লাখ টাকা মূল্যের বেঞ্চ, আসবাবপত্র গুলো নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করেন।
অভিযোগ রয়েছে, এর আগে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মোহাব্বেত রহমান, উপজেলার পেড়িয়া ইউনিয়নের চাঁনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন বিদ্যালয়ের ল্যাপটপ বাড়িতে নিয়ে তার ছেলেকে দিয়ে স্থানীয় পেড়িয়া বাজারে কম্পিউটার দোকান খুলে কম্পোজের ব্যবসা শুরু করেন। পরে এবিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসে অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বর্তমান মঘুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়।
জানা যায়, ১৯৭৮ সালের ২ আগস্ট বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হয়, বর্তমানে ১৩৯ জন শিক্ষার্থী পড়ালেখা করে। ২০২৪ সালের ২১ এপ্রিল মোহাব্বেত রহমান প্রধান শিক্ষক হিসেবে ওই বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। অভিযোগ রয়েছে, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মোহাব্বেত রহমান বিদ্যালয় রেজুলেশনের সাদা পাতায় পূর্বে থেকে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর নিয়ে রাখেন। যাতে করে তার অবৈধ কাজকে পরবর্তীতে সঠিক নীতি নিয়ম নীতির মাধ্যমে হয়েছে বলে বলতে পারেন।
এ বিষয়ে ভাঙ্গারী দোকানি রুবেল বলেন প্রধান শিক্ষক থেকে আমি ৪৪ টাকা কেজি দরে ২শ’৩৭ কেজি ব্যাঞ্চ, টেবিলসহ আসবাবপত্র ক্রয় করেছি।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মোহাব্বেত রহমান বলেন, ৫ আগষ্ট বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র ভাংচুর হয়। রেজুলেশন অনুযায়ী বিক্রি করে দিয়েছি।
ওই বিদ্যালয়ের ক্লাস্টারের দায়িত্ব থাকা এ,টি,ও মহিব উল্লাহ বলেন। সে কি করে এত সাহস পায়। তাঁকে জিজ্ঞেস করেন। এ ধরনের কাজ করে থাকলে বিধি অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেব। নাঙ্গলকোট উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল ওয়াহাব বলেন,সরকারি মালামাল টেন্ডার ছাড়া বিক্রি করার সুযোগ নেই,খোঁজ নিয়ে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল আমিন সরকার বলেন,আপনার মাধ্যমে শুনেছি । খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখবো।