নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে চাকরি নেয়া কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম এবার তার ভাই মিরাজ হোসেন দিয়ে কোটি টাকার মাটি বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। ফ্যাসিস হাসিনা সরকারের অনুসারী সাইফুল ইসলাম স্থানীয় বিএনপি ও ছাত্রদল নেতাদের হাতে নিয়ে উপজেলার ঢালুয়া ইউপির খাজুরিয়া গ্রামের তার বাড়ির পাশে বিশাল মৎস্য প্রজেক্ট থেকে গত এক মাস ধরে কোটি টাকার মাটি বিক্রি করছেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে ৫ আগস্টের ফ্যাসিস হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর আত্মগোপনে চলে সাইফুল ইসলাম। সে আগ থেকে ফ্যাসিস হাসিনা দপ্তরে চাকরি করতেন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগও রয়েছে সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
বর্তমানে সাইফুল ইসলাম প্রকাশে এসে নানা অনিয়ম দুনীতি সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েন। এ যেন টাকা কুমির সাইফুল।
সাইফুল ইসলাম নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজক দেখছেন দ্বিতীয় পর্ব।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেত্রী নাছরিন আক্তার মুন্নীর চাচাতো ভাই খাজুরিয়া গ্রামের যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম ও তার ভাই মিরাজ হোসেন ১০ একর ফসিল জমিতে মৎস্য প্রজেক্ট তৈরি করেন। সুকৌশলে বিএনপি নেতা জাকির হোসেন ও ছাত্রদল নেতা আমির হামজা মুন্না ওই মাটি বিক্রি করছেন সাইফুল ইসলাম। গত এক মাস ধরে বেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে ব্রেকফিল্ড সহ আশেপাশের পুকুর, ফসিল জমি বরাট করছেন। প্রতি গাড়ি মাটি ১৫ শত টাকা করে মাটি বিক্রি করছেন। এসব মাটি ট্রাক্টারে করে কেয়ারিং করায় পাশের সড়ক বিভাগের নাঙ্গলকোট থেকে চৌদ্দগ্রাম চিওড়া সড়ক এবং খাজুরিয়া গ্রামের এলজিইডি সড়কের এক কিলোমিটার জুড়ে পিসের ওপর প্রায় চার ইঞ্চি মাটি পড়ে পুরো সড়ক নষ্ট করে ফেলে। এতে সামান্য বৃষ্টি হলে ওই সড়ক দিয়ে চলাচলের যানবাহনের বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে নাম না প্রাকাশে অনিচ্ছুক ট্রাক্টর ড্রাইবার বলেন, আমরা প্রতিদিন হাজিরা হিসেবে এক হাজার টাকা করে কাজ করছি। তবে ধারণা করা হচ্ছে এখান থেকে কোটি টাকা মাটি বিক্রি করা হবে।
এ বিষয়ে প্রেজেক্টের মালিক যুবলীগ নেতা মিরাজ হোসেন বলেন, এ মাটিগুলো আমি তাদের কাছে বিক্রি করেছি। তবে তারা কি ভাবে মাটি কেটে নিবে আমার জানা নেই।