বিশেষ প্রতিনিধিকু
মিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম– লাঙলকোট উপজেলার ধোলকড়া-ঢালুয়া সংযোগ সড়কে ডাকাতিয়া নদীর উপর নির্মাণাধীন গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের কাজ চলমান। স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর কাজটি বাস্তবায়ন ও তদারকি, কাজের গুনগত মান যাচাই-বাছাই করার কথা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ক অর্ডার বা কার্যাআদেশ অনুসরণ না করে নিন্ম মানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে তৈরি করছেন।
সরজমিন তদন্ত করে জানা যায় ব্রিজ টি চৌদ্দগ্রাম শাকতলা অংশে আকাঁ-বাঁকা কিন্তু ব্রিজের চৌদ্দগ্রাম অংশে শাকতলা মৌজায় সরকারি খাস ও অধিগ্রহণ কৃত জমি ব্যবহার করা হয়নি একই সাথে লাঙ্গলকোট গোড়মুড়া মৌজায় ব্রিজের জন্য অধিগ্রহণের জমির কে রক্ষা করে ব্রিজের নির্মাণের কাজ চলছে ফলে আকাঁ-বাঁকা হয়ে “এস” আকৃতি হয়ে গেছে।
লাঙ্গলকোট উপজেলা ইন্জিনিয়ার কাছে বারবার কাজের ওয়ার্ক অর্ডার বা কার্ষাআদেশ, নকশা, মান যাচাইয়ের রিপোর্ট সহ যাবতীয় কাগজপত্র চাইলেও পাওয়া যায়নি আমাদের নিজস্ব সোর্স থেকে সংগ্রহ করা নকশা তে দেখা যায় গোড়মুড়া মৌজায় ৩৮৭,৩৮৬,৩৮৫,৩৮৩ দাগে ব্রিজের নির্মাণ কাজ করার থাকলেও কৌশলে ৩৮৭ ও ৩৮৬ দাগ নির্মাণে ব্যবহার করা হয়নি।
স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবী কোন অদৃশ্য কারণে গোড়মুড়া মৌজার জমির মালিক প্রফেসর শাহাজাহান চৌধুরীর অধিগ্রহণ করা জমি ব্রিজের জন্য ব্যবহার না করে ব্রিজের কাজ দ্রুত গতিতে চলমান। একই সাথে অধিগ্রহণ করা জমিতে শাহাজাহান চৌধুরী ফিসারিজে এবং কিছু অংশ অন্য ফিসারিজ সীমানা প্রাচীরের মধ্যে।
চলমান কাজের মানের বিষয়ে শাকতলা গ্রামের একাধিক মানুষ জানান সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ব্রিজটি তৈরি করা হচ্ছে। রাস্তা তদারকি বা কাজের মান যাচাই-বাছাই করার মত কাউকে দেখা যায় না।
আমাদের প্রতিনিধি এ নিয়ে নানাহ অভিযোগ পেয়ে দেখা যায় সংযোগ সড়ক ১২০ ফিটের মত আছেন। নির্ভর যোগ্য সূত্রে জানা যায় ওয়ার্ক অর্ডার বা কার্ষাআদেশ অনুযায়ী ২৬০ ফিট করে উভয় পাশে। এখানে এ নিয়ম অনুসরণ করা হয়নি।
ব্রিজে উভয় পাশে ব্লক ইট ব্যবহার করা হয়েছে কিন্তু ব্লক ইটের ব্যবহার করতে হলে বিএসটিআইয়ের মান নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশনা থাকলেও এর কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
ব্লক ইটের মানে নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ১০ এন/এম,এম2 পানিতে ১৫-২০ এন/এম,এম2 থাকা ব্যার্ধতামূলক হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও এল,জি,ই,ডি লাঙ্গলকোট ব্লক ইট পরীক্ষার কোন সনদ দেখাতে পারেন নি। নিন্ম মানের কংক্রিট, সিমেন্ট ব্যবহার করার কথা জানা যায়। নির্মাণ কর্মীদের সাথে আলোচনা করে জানা যায় সিমেন্ট ব্যবহার হচ্ছে ৭/১ অর্থাৎ সাড়ে তিন ব্যাগ বালি, সাড়ে তিন ব্যাগ কংক্রিট একটা সিমেন্ট। এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো এলজিইডি উপস্থিতি তে মিশ্রণ করার কথা থাকলেও কাউকে পাওয়া যায়নি।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন টেন্ডার আহবান করা হয় ২০১৭ সালে ২০১৮ সালে কাজ আরম্ভ ও করা হয় কিন্তু আমাদের প্রতিনিধি অনুসন্ধান করে দেখতে পায় নকশা তে সই সাক্ষর করা ২০২২ সালে? টেন্ডারের ৫ বছর কিভাবে নকশা তৈরি হয়? আমাদের কাছে স্পষ্ট নকশা জালিয়াতি করে কাউকে সুবিধা দেয়া হয়েছে।
এ বিষয় লাঙ্গলকোট উপজেলা ইন্জিনিয়ার ওহিদুর রহমান সাথে আলোচনা করে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ বুঝিয়ে নিবেন বলে জানান।
ব্রিজের ঠিকাদার আলম সাবেক অর্থমন্ত্রী লোটাস কামাল ভাতিজা ঠিকাদার বলে দায়িত্ব এড়িয়ে যান। পরবর্তী আবার ফোন দিলে রিসিভ করেন নি।
প্রফেসর শাহাজাহান চৌধুরী কে অধিগ্রহণের জমি দখল ও প্রজেক্টে ব্যবহার করা বিষয় বলেন সরকার চাইলে জমি সরকার কে দিয়ে দিবেন। এবং এক পর্যায়ে সমঝোতার প্রস্তাব দেন।