জাফর আহমেদ
রশিদের মাধ্যমে সনদ ফি গ্রহণ। অবৈধ বললেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার। ঘটনাটি লাকসামের নরপাটি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের। ১ ডিসেম্বর ২০১৫ সালে উক্ত স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে কর্মরত থাকাকালীন অবস্থায় ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ইং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মনির আহমেদ ভুঁইয়া। উক্ত সময়ের মধ্যে টাকা ছাড়া সনদ নেওয়া যায়না। এসএসসি সনদ নিতে ৩ শ, টাকা লাগে। উক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এধরনের অভিযোগ উঠায় মানহানির আশঙ্কায় পড়েছে নরপাটি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়। সূত্র জানিয়েছে, ৪ ফেব্রুয়ারি ঐতিহ্যবাহী এই স্কুলের একজন ছাত্রীর অভিভাবক তার সন্তানের ২০১৯ সালে পাশ করা এস এস সি সনদ নিতে গেলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলেন, আপনি বসুন আমি ক্লাস সেরে আসি। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এসে অন্য একজন শিক্ষককে এই সনদটি দেওয়ার জন্য বলেন। ওই শিক্ষক আরেকজনকে এই সনদটি দেওয়ার জন্য বললে সে চাবি নিয়ে প্রধান শিক্ষকের রোমে গিয়ে আলমিরা খুলে সনদ বের করে রশিদের মাধ্যমে ৩শ, টাকা দিতে বলেন। ইতোমধ্যে আরেকজন অভিভাবক এসে রশিদের মাধ্যমে ৩শ, টাকা দিয়ে সনদ নিয়ে যান। অপেক্ষা করাকালীন সময়ে ওই অভিভাবক স্কুলের অফিস সহকারীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে অফিস সহকারী বলেন, সার্টিফিকেট তার কাছে রাখা হয় না। সূত্রমতে ছাত্রছাত্রী অথবা অভিভাবকদের সময়ের গুরুত্ব না দিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রশিদের মাধ্যমে অবৈধ টাকা নিয়ে স্কুলের মান ক্ষুন্ন করেছেন। এ বিষয়ে লাকসাম উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দিন বলেন, সকল ছাত্রছাত্রীদের সনদ ফিসহ সকল ধরনের ফি ফরম ফিলাপ করার সময়ে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে সনদের জন্য কোন টাকা নিলে সেটা অবৈধ হবে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উক্ত বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই টাকা স্কুল ফান্ডে যায়। এর জন্যে ম্যানেজিং কমিটির রেজুলেশন আছে। টাকা আমি নতুন নিচ্ছি না। টাকা নেওয়া আগ থেকেই চলছে।