নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে একইস্থানে একই সময় বিএনপির দুই গ্রুপের কর্মী সম্মেলনে ডাক দিয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফুর ভূঁইয়া ও বর্তমান উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নজির আহমেদ ভূঁইয়ার অনুসারীরা। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) উপজেলার মৌকরা ইউপির কালেম গ্রাম মাঠে এ সম্মেলনে কেন্দ্র করে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনার শেষ ছিল না। প্রশাসনের কোনো অনুমতি না থাকায় উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে সম্মেলন বন্ধ করে দেয়। এ বাঁধাকে অপেক্ষা করে কর্মী সম্মেলন করেন সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফুর ভূঁইয়া গ্রুপের অনুসারীরা। অন্যদিকে প্রশাসনের সম্মান জানিয়ে সম্মেলন না করে চলে যান বর্তমান উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নজির আহমেদ ভূঁইয়ার অনুসারীরা। নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল আমিন সরকার বলেন, একই সময় একই স্থানে বিএনপির দুই গ্রুপের সম্মেলন ছিল। ওই সম্মেলনে কোনো গ্রুপ প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নেয়নি। বুধবার আমার সরেজমিন গিয়ে উভয় পক্ষকে বুঝিয়ে বলি। পাশাপাশি প্রোগ্রাম না করার জন্য নিষেধ করি। কথা মতোন সবাই চলে যায়। পরে কেউ প্রোগ্রাম করেছে কিনা তা আমার জানা নেই। সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফুর ভূঁইয়া অনুসারীরা বলেন, পুরো উপজেলা আমাদের কর্মী বেশি। ভোটের মাঠে এক ঘণ্টা দাড়ানোর ক্ষমতা কারো নেই। তারা আজকে প্রশাসনের কথায় সম্মেলন না করে চলে গেছে। এতে বুঝা যায় আগামীতেও তারা মাঠ থেকে এভাবে চলে যাবে। আজকে আমরা হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে সম্মেলন করেছি। জানা যায়, বর্তমানে নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপি তিনভাগে বিভক্ত। ২০০১ সালে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়ে আবদুল গফুর ভূঁইয়ার সংসদ নির্বাচন হন। পরে ২০০৮ সালে নতুন করে মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া দলীয় মনোনয়ন পেয়ে পরাজিত হন। সেই সঙ্গে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক থেকে ২০১৯ সালের দিকে স্বেচ্ছায় দল থেকে অব্যাহতি নেন। শেষে নজির আহমেদ ভূঁইয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়কের দায়িত্ব পান। তিনি এ পদে এখনো রয়েছে। তিনজনই বর্তমানে আলাদা আলাদা কর্মসূচি পালন করছেন। দীর্ঘদিন ধরে গফুর ভূঁইয়া, মোবাশ্বের ভূঁইয়া ও নজির আহমেদ ভূঁইয়ার মধ্যে রাজনৈতিক বিরোধ চলছে। তারা তিনজই কুমিল্লা-১০ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী। এ বিষয়ে নজির আহম্মেদ ভূইয়া অনুসারীরা জানান, প্রশাসনকে সম্মান জানিয়ে আমরা প্রোগ্রাম স্থগিত করি। আগামীতে আরো বড় ধরনের প্রোগ্রাম করব।