খাল দখল করে নির্মিত মার্কেট আর বহুতল ভবন বাঁচাতে খালের অর্ধেক বাদ দিয়ে সড়ক কেটে নির্মাণ করা হয়েছে ব্রিজ, ক্ষমতার দাপটে ভেঙে দেয়া হয়েছে সড়কের পাশে থাকা মালিকানা ভবনের একাংশ।
জানা যায় বিগত আওয়ামী সরকারের শেষ সময়ে মনোহরগঞ্জ উপজেলার হাসনাবাদ বক্সগঞ্জ সড়কের হাসনাবাদ বাজারের পূর্ব পাশে খালের উপর ১০ মিটার লম্বা পুরাতন ব্রিজ ভেঙে নতুন করে ১২ মিটার ব্রিজ নির্মাণে ১ কোটি ৯৮ লক্ষ ৬৫ হাজার ৪৬৭ টাকা বাজেট করা হয়। টেন্ডার প্রক্রিয়ায় কাজটি পায় ফরিদপুরের ফরিদুল জান্নাত নামে নির্মাণ প্রতিষ্ঠান।
নির্মাণ প্রতিষ্ঠান নিজেরা ব্রিজের কাজ করতে না পেরে সেটি স্থানীয় যুবলীগ নেতাদের কাছে কাজ করার দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।
ব্রিজ নির্মাণ করতে গিয়ে হাসনাবাদ ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক কামাল হোসেন বাজারের উত্তর পাশে খাল দখল করে নির্মিত তার বহুতল ভবন ও মার্কেট বাঁচাতে খালের অর্ধেক বাদ দিয়ে খালের পূর্বাংশে আস্ত সড়ক কেটে ব্রিজ নির্মাণ করতে চাইলে স্থানীয় লোকজন বাধা দেয়, বাধা পেয়ে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে কামাল। ব্রিজ সংলগ্ন সড়কের পাশে আশিয়াদারি গ্রামের সোলেমান মিয়ার নির্মিতব্য ভবনের একাংশ ভেঙে ফেলাসহ রড সিমেন্ট এবং নির্মাণাধীন মালামাল লুট করে নিয়ে যায় সাবেক মন্ত্রী তাজুলের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত কামাল ও তার লোকজন। প্রকাশ্যে এমন অপরাধ করলেও ভয়ে কেউ টু-শব্দ করার সাহস পায়নি। ৫ আগস্ট স্বৈরাচার হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর এনিয়ে সোলেমান মিয়া আদালতে কামাল হোসেনকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় দুবছর আগে সরকারিভাবে খাল কাটার সময় নিজের ভবনগুলো বাঁচাতে বাজারের অংশের খাল বাদ দিয়ে সেটাকা লুটে নেয় কামাল।