জুলাই – আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে পতিত স্বৈরশাসক খুনি হাসিনার দোসররা অনেকে আড়ালে চলেগেলেও পতিত হাসিনার দোসর কতিত ওলামা লীগের নেতা লেবাসি হুজুর ও ঢাক্য় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আবদুর রহমান জিসান হত্যার অন্যতম আসামি রবিউল হোসেন হেলালি দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।
বিগত স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের শাসন আমলে কুমিল্লার লাকসামের আলেম সমাজ ও সাধারণ মানুষ লেবাসি হুজুর কতিত গরম সুন্নী নেতা লেবাসি হুজুর নিয়ন্ত্রণ করতেন মসজিদ ভিক্তিক ইসমামী ফাউন্ডেশনের কেন্দ্র। লেবাসি হুজুর কতিত সুন্নী নেতা রবিউলকে মোটা অংকের টাকা দিলে ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের কেন্দ্রের অনুমোদন মিলতো। অভিযোগ রয়েছে এই অঞ্চলের আলেম সমাজ মসজিদের ইমাম ও খতিব সাহেবরা তাঁহার কাছে জিম্মিছিল। বিভিন্ন মসজিদের আলেম সমাজ খতিব সাহেবেরা জুম্মার খুতবা ইসলামিক আলোচনা করলে আলেম সমাজকে জামায়াতে ইসলামী, হেফাজত, চরমোনাই এর ট্যাগ লাগিয়ে দিতো থাদেরকে বাদ্যকরে ওলামা লীগ ও সুন্নীদের মিটিং মিছিল ও পতিত হাসিনা সরকারের এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুলের শ্যালক মহব্বত আলী ও মেয়র আবুল খায়েরের কাছে জামায়াতে ইসলামী ও চরমোনাই ট্যাগ লাগিয়ে আলেম সমাজকে আপমান অপদস্ত করতো শুধু তাই নয় ভিন্ন মতের আলেম সমাজ তার কাছে এক প্রকার অসহায় ছিল। এই লেবাসি হুজুর ওলামালী নেতা রবিউলের ভয়ে অনেক মসজিদে ইমাম ও খতিব সাহেবরা চাকুরী ছাড়তে বাদ্য হয়েছে। মহব্বত ও খায়েরের নির্দেশে ততকালীন স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের আমলে বিনা ভোটের মেয়র খায়েরের নির্দেশে পৌর ভবনে ভিআইপি হল রুমে ততকালীন নাম ছিল (তাজুল ইসলাম কনফারেন্স হল) রুমে কতিত সুন্নী আলেমের নামে আওয়ামী দালাল লেবাসি হুজুরদের রাজনৈতিক সভা সেমিনার ছিল চোখে পড়ার মত।
এই হলরুম থেকে নিয়ন্ত্রণ হতো ভিন্ন মতের আলেম দমনের ষড়যন্ত্র। বিগত স্বৈরাচার আওয়ামী দোসর কতিত সুন্নী নেতা লেবাসি হুজুর রবিউল নিয়ন্ত্রণ করতেন ওয়াজ মাহফিল। লাকসাম শহরে তাফসীরুল কুরআন মাহফিলে একবারে নিষিদ্ধ ছিল। সব জায়গায় সুন্নী মাহফিলের নামে পতিত মন্ত্রী তাজুল ও তাহার শ্যালক মহব্বত, পতিত মেয়র খায়েরের গুনগান গাইতেন লেবাসি নেতা গরম সুন্নী রবিউল হোসেন হেলালি।
নিজ গ্রামের মানুষ ছিল জিন্মি :
সদ্য পতিত আওয়ামী স্বৈরশাসক খুনি হাসিনার পতনের পরই মানুষ লেবাসি হুজুর কতিত ওলামালীগ নেতা রবিউল হোসেন হেলালির অপকর্মের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছে। এই এলাকায় মৃত্যু কোরবান আলীর পুত্র হাসান মিয়া বলেন, এই হেলালি আমাকে বাড়িঘর ছাড়া করেছে দীর্ঘদিন আমি বাড়িঘরে থাকতে পারি নাই। আমার বাবা, মা, এমনকি আমার মাস্টার্স পড়ুয়া ছোট্ট বোনকে মিথ্যা মামলার আসামি হতেহয়েছে শুধু তাই নহে-আমার পরিবার ও আত্মীয় স্বজন সবাইকে আসামি করেছে আওয়ামীলীগের দাপট খাটিয়ে। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে কুমিল্লা জেলার লাকসাম পৌর এলাকার উত্তর পশ্চিমগাঁও গ্রামের কাজীপাড়া এলাকার মৃত্যু সাবুদ্দীনের ছেলে কতিত আওয়ামী ওলামালীগের দোসর গরম সুন্নী নেতা লেবাসি হুজুর রবিউল হোসেন হেলালির হাতে প্রায় ১০ টি পরিবার মিথ্যা মামলা হামলা স্বিকার হয়েছে। এই এলাকার ( কাজীপাড়া) বাসিন্দা খোরশেদ আলম, হিরু মিয়া, আবুল কালাম, সেলিম মিয়া, নুরালামসহ মারধর ও মিথ্যা মামলার আসামি হয়েছে। বিগত স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে একক নিয়ন্ত্রণে কাজীর মসজিদ পরিচালনা হতো জোরকরে এই ওলামালীগের লেবাসি হুজুর ইমাম ও খতিবের মত চাকুরী ভাগিয়ে নিয়েছেন। মসজিদের ভিতরে প্রকাশে আওয়ামীলীগের জন-প্রতিনিধিদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করেছেন এই লেবাসি হুজুর। অবিলম্বে জিসান হত্যার আসামি রবিউল হোসেনকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দাবি করেছেন শহীদ জিসানের গর্বিত পিতা মোঃ বাবুল সর্দার ও এলাকাবাসী।