কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার দোলখাঁড় ইউপির আইটপাড়া আজিজিয়া আলিম মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ৪ ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ওই মাদরাসার সহকারি অধ্যাপক এবিএম নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। যৌন নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীরা গত ১১ডিসেম্বর মাদরাসা অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক নজরুল ইসলামের বাড়ি উপজেলার পেরিয়া ইউপির পূর্ব চাঁন্দপুর গ্রামে। নজরুল ইসলাম বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পেরিয়া ইউনিয়ন শাখার সাবেক সভাপতি ও নাঙ্গলকোট পৌরসভা জামায়াত নেতা বলে জানা গেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে নজরুল ইসলাম চার ছাত্রীর শরীরে খারাপ ভাবে স্পর্শ করে। ছাত্রীদের বুকে, পেটে ও শরীর বিভিন্ন স্থানে স্পর্শ করে। এছাড়াও গায়ের সাথে ঘষাঘষি করেছে ও জোর করে ছাত্রীদের জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করেছে বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
এ ঘটনায় মাদ্রাসার ৩ শিক্ষকের সমন্বয়ে তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেয়ে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়। পরে নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে অভিযুক্ত শিক্ষককে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রেরণ করেন মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।
যৌন নির্যাতনের শিকার এক ছাত্রীর বড় ভাই বলেন, আমার বোনকে যৌন নির্যাতনের প্রতিবাদ করায় অভিযুক্ত শিক্ষক নজরুল ইসলাম দোলখাঁড় ইউপির ১নং ওয়ার্ড মেম্বার আবুল কাশেমের মাধ্যমে টাকা দিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করতে চায়। আমরা রাজি না হওয়ায় এখন সে আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। আমরা এ লম্পট শিক্ষকের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই। অভিযুক্ত শিক্ষক এ বি এম নজরুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমি এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত না। আইটপাড়া আজিজিয়া আলিম মাদরাসা অধ্যক্ষ মাওলানা শাহজাহান মজুমদার বলেন, কয়েকজন শিক্ষার্থীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এবং প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেছে। এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পূর্বেও এমন অভিযোগ পাওয়ায় তাঁকে দু’বার সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিলো।
নাঙ্গলকোট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, অভিযোগ পেয়ে তদন্ত চলছে। সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল আমিন সরকার বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে। জবাব পাওয়ার পর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।