নাঙ্গলকোটের বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের সেবাখোলায় দুই নারীকে ধর্ষনের ঘটনায় অভিযুক্তরা উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়ার অনুসারী দাবী করে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বাঙ্গড্ডা ইউনিয়ন যুবদল ও সহযোগী সংগঠনের একাংশের আয়োজনে উপজেলা যুবদলের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তা উত্থাপন করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে যুবদল নেতা জসিম উদ্দিন ও আমজাদ হোসেন বলেন, গণধর্ষণের ঘটনার মূল অভিযুক্ত কথিত যুবদল নেতা মহসিন গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া সমর্থিত যুবদলের নেতা-কর্মীরা অভিযুক্ত মহসিনকে দলে অন্তর্ভূক্ত করেন । গত বিজয় দিবসে মহসিন মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়ার ছবি ব্যবহার করে বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ফেস্টুন সাঁটায়। এছাড়া মহসিনের সাথে গণধর্ষণ মামলার ৬নং আসামী কবির আহম্মদও বাঙ্গড্ডা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক হিসাবে মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়ার ছবি ব্যবহার করে বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের ফেস্টুন সাঁটায়।
তারা আরো বলেন, মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়ার অনুসারী যুবদল নেতা-কর্মীদের সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডের কারণে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনগুলো সর্বমহলে প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে। তারা ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বিএনপি ও যুবদল কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট দাবি জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ, মাহবুবুল হক, যুবদল নেতা ইমাম হোসেন, নাজমুল হাসান, মনোহর আলী, শাহীন, সুমন, আবু তাহের, জামাল হোসেন, সেচ্ছাসেবক দল আহবায়ক মাইন উদ্দিন, ছাত্রদল নেতা মাসুদ আলম প্রমূখ।
উল্লেখ্য, গত ৯জানুয়ারী দুপুরে উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের সেবাখোলা নামক স্থানে স’মিলের ভিতরে দলবদ্ধ এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় মূল অভিযুক্ত নুরপুর গ্রামের রঞ্জু মিয়ার ছেলে যুবদল নেতা মহসিন ।
জানা যায়, ধর্ষিত এক নারীর সাথে স্থানীয় সহিদের প্রেমের সম্পর্কে তারা কুমিল্লা থেকে চৌদ্দগ্রাম হয়ে উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের নুরপুর সেবাখোলা নামকস্থানে যায় । তখন যুবদল নেতা মহসিনসহ ২/৩জন তাদেরকে রাস্তায় ভয়ভীতি দেখিয়ে মোবাইল ও টাকা-পয়সা ছিনেয়ে নিয়ে জোরপূর্বক পাশ্ববর্তী একটি স‘মিলে নিয়ে যায়। স‘মিলে আগে থেকে অবস্থানরত আরো ৭/৮জনসহ ১০জন প্রায় ৪ঘন্টা পর্যন্ত তাদেরকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এছাড়া এ ঘটনা কাউকে না জানাতে ধর্ষণের ভিডিও করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ধর্ষিত দুই নারী।
তাদের অভিযোগ, ১০/১২ জন মিলে একটি স’মিলে নিয়ে গণধর্ষণ করেন। এর মধ্যে দুইজন তাদেরকে সবচেয়ে বেশি নির্যাতন করেছে এবং সবার মুখ দেখলে চিনতে পারবো । ঘটনার সময় স‘মিলের মালিক ছিলেন। তাদেরকে প্রথমে তারা খালি রাস্তায় অটো রিকশায় করে নিয়ে বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরাঘুরি করে। পরে তারা বুঝতে পারে লোকগুলোর উদ্দেশ্য ভালো না । তখন তাদের সাথে ধস্তাধস্তি করে একটি রুমে নিয়ে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে তাদেরকে মারধর সহ জোরপূর্বক ভিডিও করে। পরে শোর চিৎকার দিলে, তাদেরকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। দুপুর ১২ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ধর্ষকেরা পালাক্রমে ধর্ষণ করে ।