মানুষ গড়ার কারিগর মনির আহমেদ শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন কুমিল্লার লাকসাম উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক মোজাম্মেল হক মন্টু কর্তৃক। উল্লেখ্য, খিলা আজিজ উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় সভাপতি হতে চেয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালামের আশীর্বাদপুষ্ট মোজাম্মেল হক মন্টু। এ নিয়ে বেশ চাপাচাপি করে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু বিএনপি’র আজিম গ্রুপের স্হানীয় নেতৃবৃন্দ এই প্রস্তাবের ঘোরতোর বিরোধী। তাদের মতে ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হওয়ার মতো যোগ্যতা,অভিজ্ঞতা, ভাবমূর্তি, গুণাবলী কোনটাই নেই মন্টুর।কারণ, এলাকায় মন্টুর বিরুদ্ধে নেতিবাচক অভিযোগের অন্ত নেই। তাই প্রধান শিক্ষক মনির আহমদও এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলেন। গত ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ সকাল ১১টায় বিএনপি নেতা মোজাম্মেল হক মন্টু ১০/১২জন সন্ত্রাসী নিয়ে হাজির হয় প্রধান শিক্ষকের দপ্তরে। শুরু হয় বাক বিতান্ডা। এক্ষুনি তার নাম সভাপতি হিসেবে প্রস্তাব পাঠাতে হবে। প্রধান শিক্ষক মনির আহমাদ এব্যাপারে সময় চাইলে সাথে সাথে শুরু হয় কিল, ঘুষি, লাঠিপেটা। হেডমাস্টারের আত্বচিৎকারে ছুটে আসে সহকর্মী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবা। কিন্তু ততোক্ষণে বেচার হেডমাস্টার চিড়া চ্যাপ্টা। চিক্যিসার জন্য নেওয়া হয় হাসপাতালে।
এদিকে শিক্ষাগুরুর উপর এই বরবরোচিত হামলায় ক্ষুব্ধ হয় এলাকার সর্বদলীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ,স্থানীয় জনতা, অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কুমিল্লা-নোয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ করে। দেখা দেয় তীব্র জানজট। পরিস্হিতি সামাল দিতে এগিয়ে আসে স্হানীয় নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসন।
দুঃখজনক হলেও সত্য, থানায় অভিযোগ দাখিলের ২৪ঘন্টা অতিবাহিত হলেও সংগঠন ও পুলিশের পক্ষথেকে বিএনপি’র এই সন্ত্রাসী এর বিরুদ্ধে গ্রহণ করা হয়নি। যা লাকসাম মনোহরগন্জে জনমনে বিএনপি সম্পর্কে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। ফলে ১৫ জানুয়ারি পুনরায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে প্রতিবাদ জানায় স্হানীয় ছাত্র জনতা। জানা গেছে, অভিযুক্ত মন্টু বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল কালাম ও মজির আহমেদের ঘনিষ্ঠতা দাবি করে বিষয়টি ধামাচাপার জোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিএনপির স্হানীয় নেতা কর্মীরা দলের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে অভিযুক্ত মোজাম্মেল হক মন্টুর বিরুদ্ধে আইনানুগ ও সাংগঠনিক ব্যাবস্হা গ্রহনে স্থানীয় প্রশাসন এবং বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।