কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে উপজেলায় রাস্তা থেকে দুই কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে এক যুবদল নেতার বিরুদ্ধে । এ ঘটনা কাউকে না জানাতে ধর্ষণের ভিডিও করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী নারী। রবিরার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী দুই নারী বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ দাখিলের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ.কে ফজলুল হক।
অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের যুবদল নেতা মো. মহসিন। সে বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের রঞ্জু মিয়ার ছেলে। অন্যজন স’মিলের মালিক খোকন মিয়া। বাকিদের পরিচয় এখনো হওয়া যায়নি।
ভুক্তভোগী দুই নারী জানান, আমাদের দুই বোনকে ১০/১২ জন মিলে একটি স’মিলে আটকে রেখে গণধর্ষণ করেছিলো। এর মধ্যে দুইজন আমাদেরকে সবচেয়ে বেশি নির্যাতন করেছে। সবার মুখ দেখলেই চিনতে পারবো আমরা। স’মিলের মালিক ছিলো, আমাদেরকে প্রথমে খালি রাস্তায় অটো রিকশায় করে নিয়ে বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরাঘুরি করে। আমরা বুঝতে পারি তাদের উদ্দেশ্য ভালো না তখন আমাদের সাথে ধস্তাধস্তি হয়। কেউ ছিলো না আশেপাশে তখন। পরে আমাদেরকে একটি রুমে নিয়ে যায়। সেখানে আমাদেরকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়। একপর্যায়ে মারধর করে জোরপূর্বক আমাদের নগ্ন ভিডিও মোবাইলফোনে ধারন করে রাকে। এসময় চিৎকার চেঁচামেচি করলে, আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় বলে জানায় ভুক্তভূগী এক নারী। গত বৃৃৃৃৃৃৃৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত আমাদেরকে ধর্ষন করেছিলো নরপশুগুলো। পরে স’মিলের মালিকের সহযোগিতা আমাদেরকে একটি ব্যাটারীচালিত অটোরিক্সাযোগে পাঠিয়ে দেয়া। আমারা ন্যাক্কারজনক এই ঘটনাার সুষ্ঠু বিচার চাই।
ঘটনার পর থেকে প্রধান অভিযুক্ত যুবদল নেতা মোঃ মহসিন ও স’মিলের মালিক খোকন মিয়া পলাতক রয়েছে।
প্রধান অভিযুক্ত মহসিনকে মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলেও তিনি ধরেননি। তবে তার পিতা রঞ্জু মিয়া বলেন, আমার ছেলে নির্দোষ তার বিরুদ্ধে একটি পক্ষ অপপ্রচার চালাচ্ছে। এরআগেও এলাকায় বিভিন্ন অপপ্রচার চালানো হয়।
মুঠোফোন অভিযুক্ত স’মিলের মালিক খোকন মিয়া বলেন, জোরপূর্বকভাবে আমার স’মিলে দুইজন মেয়ে নিয়ে ঢুকে যুবদল নেতা মহসিন। এসময় তার সাথে আরো ১০-১২ জন ছিলো। এ ঘটনার সাথে তিনি জড়িত নাই দাবি করে আরো বলেন, আমাকে কল দিলে আমি বিষ খেয়ে মরে যাবো।
নাঙ্গলকোট উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মনিরুল ইসলাম মনির বলেন, বিষয়টি আমি শুনিনি, তবে কেউ যদি দলের নাম ব্যবহার এসব অপকর্ম করে, আমরা তার দায়ভার নিবো না, অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা হোক।
নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ.কে ফজলুল হক বলেন, দুই কিশোরী আমাদের পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। আমরা তাদের কাছে ঘটনার বিস্তারিত জানতে চাচ্ছি। পরে আপনাদের (সাংবাদিকদের) বিস্তারিত জানানো হবে।