লাকসাম প্রতিনিধি
রাতের আঁধারে লাকসাম রেলস্টেশনে ছিন্নমূল, বয়স্ক ও কর্মজীবী মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছেন লাকসাম প্রেসক্লাবের সদস্যবৃন্দ। বুধবার রাতে লাকসাম প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে শীতার্ত মানুষদের মাঝে ৩০০ কম্বল বিতরণ করেন প্রেসক্লাব কতৃপক্ষ। এ সময় রেলওয়ে প্ল্যাটফর্মে থাকা ভবঘুরে বৃদ্ধা, প্রতিবন্ধী ও অসহায় লোকজন প্রেসক্লাবের অন্যতম সদস্য সাংবাদিক এড. বদিউল আলম সুজনের হাত থেকে কম্বল পেয়ে খুশি হন। আবুল কালাম নামের এক বৃদ্ধ বলেন, বাড়িতে যেতে পারি না। হাতিয়া বাড়ি আমার, নদী ভাঙনে বাড়ি চলে গেছে। কয়েক বছর থেকে লাকসাম এলাকায় দিনে এদিক ওদিক থাকি আর রাতে স্টেশনে ঘুমাই। সাংবাদিক স্যার কম্বল দিসে তাই অনেক খুশী লাগছে। রহিমা বেগম নামের এক ভিক্ষুক বলেন, আমাকে গায়ে কম্বল জড়িয়ে দিসে সুজন স্যার। কাপড় গায়ে দিয়ে ঘুমাইসি। কিন্তু শীত সহ্য করতে পারছিলাম না। সাংবাদিক স্যারকে ধন্যবাদ, কম্বল গায়ে দিয়ে ঘুমাবো। লাকসাম প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিক এড. বদিউল আলম সুজন বলেন, সাংবাদিক হলো জাতির বিবেক এবং জনতার বন্ধু, যেকোনো প্রতিকূল সময়ে পাশে থেকে তা প্রমাণ করে। তাই লাকসাম প্রেসক্লাবের আয়োজনে স্টেশনে থাকা ভাসমান ছিন্নমূল অসহায় মানুষের মাঝে আজকে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। প্রেসক্লাবের আহবায়ক মনির হোসেন বলেন, আজ আগের দিনের থেকে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। ফলে ছিন্নমূল মানুষরা কষ্টে দিনযাপন করছে। তাই লাকসাম প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে যারা ভাসমান জীবনযাপন করছেন তাদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হলো। শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সমাজের বিত্তবানদের আহ্বান জানিয়ে প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব ফারুক আল শারাহ বলেন, প্রতিটি স্বচ্ছদাঁড়ালো। ছিন্নমূল অসহায় মানুষ কম্বল পেয়ে খুব খুশী হলো। সুশৃঙ্খলভাবে আমি দুই শতাধিককে কম্বল তুলে দিয়েছি। এ সময় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম আহবায়ক আরিফুর রহমান স্বপন, আহবায়ক কমিটির সদস্য চন্দন সাহা, সাংবাদিক শাহ নুরুল আলম, সাংবাদিক এম,এ জলিল, হামিদুল ইসলাম, লাকসাম গ্রীন লাইফ হসপিটালের চেয়ারম্যান ইকবাল হাফিজ, সাংবাদিক মোজাম্মেল হক আলম, সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেন, আব্দুল মালেক হিরণ, রুবেল হোসেন, সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।