জাফর আহমেদ।।
লাকসাম দৌলতগঞ্জ রেলস্টেশনের জায়গা দখল করে হকার্স মার্কেট নির্মাণ করেছিল সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, তার শ্যালক সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহব্বত আলী ও লাকসাম পৌরসভার সাবেক মেয়র আবুল খায়ের।
বিনা রশিদে অবৈধ ভাবে লাখ লাখ টাকা নিয়ে দৌলতগঞ্জ নতুন দৈনিক বাজারের ব্যবসায়ীদেরকে ওই মার্কেটে জোরপূর্বক স্থানান্তরিত করে ইজারা দিয়ে আসছিল লাকসাম পৌরসভা। বর্তমানে তাজুল ইসলাম, তার শ্যালক মহব্বত আলী ও আবুল খায়েরের অপকর্মের খেসারত দিতে হচ্ছে লাকসাম বাজারের শত শত ব্যবসায়ীকে। রেলের ভুমি অবৈধ দখল থেকে উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের সহকারী সচিব মোঃ আলী কবর গত ৫ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত গনবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। এতে বলা হয়েছে রেলওয়ে অবৈধ দখলকৃত ভূমি দখলমুক্ত করার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছ বাংলাদেশ রেলওয়ে। ৫ ডিসেম্বর ওই গনবিজ্ঞপ্তি জারি করে এবং ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে রেলের জায়গায় নির্মিত সকল অবৈধ স্থাপনা নিজ উদ্যোগে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। উক্ত গনবিজ্ঞপ্তি পেয়ে আতংকিত হয়ে ১১ ডিসেম্বর সকালে লাকসাম দৌলতগঞ্জ পৌর হকার্স মার্কেটের সকল ব্যবসায়ী একজোট হয়ে লাকসাম পৌর প্রশাসকের সাথে দেখা করতে যান। ব্যবসায়ীদের পক্ষে আড়ৎদার জসীম উদ্দীনের নেতৃত্বে কয়েকজনের প্রতিনিধি দল পৌর প্রশাসকের কাছে তাদের অভিযোগ উপস্থাপন করেন। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ শুনে রেল কর্তৃপক্ষের সাথে চিঠি চালাচালি করে সঠিক সমাধান বের করার আশ্বাস দেন লাকসাম পৌর প্রশাসক। এব্যাপারে আড়ৎদার মোঃ জসিম উদ্দীন আগত ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিয়ে বলেন, বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে নেতৃবৃন্দ প্রত্যেক দোকানদার থেকে ৫০ হাজার টাকা করে নিয়েছে কোন কাগজপত্র দেয় নাই। রেলওয়ে মার্কেটগুলো ভেঙ্গে ফেললে শত শত পরিবার না খেয়ে থাকবে। পৌর প্রশাসক আমাদেরকে আশ্বস্থ্য করেছেন। আপনারা কোন টেনশন না করে মনোযোগ সহকারে দোকানদারী করেন। বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুছ মোহদয়ের কথা বিবেচনা করে লাকসাম বাজরে কোন উৎশৃঙ্খল করা যাবে না। আপনারা শান্তিতে ব্যবসা বানিজ্য করেন।
উল্লেখ্য ২০১৬ সালে লাকসাম দৌলতগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের জায়গা দখল করে হকার্স মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছিল। তখনকার সময়ে ওই মার্কেটে প্রায় পাঁচশত দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে এখানে ৭ শতাধিক দোকান রয়েছে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে যদি এই মার্কেট উচ্ছেদ করে দেয় তাহলে শত শত দোকানদার পথে বসার উপক্রম হবে বলে বিজ্ঞজনদের ধারণা।