রিমু আফরাতুল
গত ৫ ডিসেম্বর রাতে ৭টার সময় লাকসাম উপজেলা ১নং বাকই ইউনিয়নে কোয়ার বাজারে ঘটনা টি ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় ঐগ্রামের দুই ভাই আরিফুর রহমান আরব ও শহিদুর রহমান তাদের মধ্যে সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধ চলছে। ঘটনার দিন দিনের বেলায় ছোট ভাই আরিফুর রহমান আরবের গাছ কাটার জন্য শ্রমিক ফয়সালকে দিয়ে কাজ করায়।কাজ শেষ করে সন্ধ্যায় শ্রমিক ফয়সাল পার্শ্ববর্তী এক ওয়াজ মাফিলের অনুষ্ঠানে ওয়াজ শুনতে যায়। শহিদুর রহমান ওয়াজের স্থানে গিয়ে ফয়সাল কে খুজে বের করে ওয়াজের স্থানেই বেধম মারধর করে। সেখান থেকে মারতে মারতে তাকে স্থানীয় কোয়ার বাজারে এনে বিদ্যুৎতের খুটির সাথে বেধে রাখে।
দিন মজুর ফয়সালের মায়ের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি আজ ১৯ বছর স্বামী হারা। আমি মানুষের বাড়িতে কাজ করে আমার ছেলেদের বড় করেছি। আমার ছেলে দিন মজুরি ভিত্তিক কাজ করে বিধায় আরিফুর রহমান আরব আমার ছেলে কে কাজের জন্য নিয়ে যায়। তাদের ভাইয়ের মধ্যে জায়গায় জমি নিয়ে বহু বছর আগে থেকেই বিরোধ চলে আসছে।
সেটাকে কেন্দ্র করে আমার ছেলে গত ৫ তারিখ কাজ শেষ করে গোসল করে পাশের গ্রামে মাহফিলের যায়। এখান থেকে শহিদ তুলে এনে কুকুরে মত পিটিয়েছে, পিটিয়ে তাকে বিদ্যুৎতের পিলারের সাথে বেধে রেখেছে। আমি কতবার তার হাতে পায়ে ধরেছি তাও তার মায়া হয় নি। মারতে মারতে আমার ছেলে এক পর্যায়ে প্রায় মৃত হয়ে যাওয়ার পরে তাকে ছেড়ে দিয়েছে। চোখের সামনে ছেলে এই অবস্থা দেখে আর সহ্য করতে পারছি না। আমার ছেলেকে স্থানীয় কেউ ধরতে আসেনি শুধু তার প্রভাবের কারনে। আওয়ামী সরকারের আমলে সে এতোটাই বেপরোয়া ছিলো যে, সেই রেশ মানুষ এখনো ভুলেনি।
আমি আমার ছেলেকে নিয়ে লাকসাম সরকারি হাসপাতালে নিয়েছি চিকিৎসার জন্য। ডাক্তার তাকে ভর্তি দিয়েছে। পরে আমি মেডিকেল সার্টিফিকেট নিয়ে থানায় গিয়ে তার নামে অভিযোগ করি। আমি প্রসাশনের কাছে ও বর্তমান সরকারের কাছে আকুল আবেদন করছি আমার এতিম ছেলেকে যে অন্যায় ভাবে অমানুষিক নির্যাতন করেছে তার সঠিক বিচার দাবি করছি।
বিষয় টি নিয়ে লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ নাজনীন সুলতানার সাথে কথা বললে তিনি বলেন,আমরা এই বিষয় অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগে আলোকে সত্যতা পেলে আমরা দ্রুত ব্যাবস্থা নিবো।
ঘটনার আলোলে শহিদুর রহমানের সাথে মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি জানান, ফয়সাল এলাকায় অনেক উৎশৃখলতা করে। রাত বিরাতে হাটা হাটি ও নেশা পানি করে। আমি তাকে প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে করেয়টা বারি দিয়েছি। মানে তিনি যে মেরেছেন তার জবান বন্ধি সে দিয়েছে।