নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় প্রতিদিন কোননা কোন বাড়ীতে চুরি,গরু চুরি ডাকাতি,ও মাদক ব্যাবসায়ী মাদক সেবী, কিশোর গ্যাং আতঙ্কে লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
গত বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার রায়কোট দক্ষিণ ইউনিয়নের মনতলী গ্রামের পশ্চিম উত্তর পাড়ায় তিন বাড়ীতে ৯ জনকে অচেতন করে সর্বত্র লুট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আহতরা হলেন, মনির আহাম্মদ ভূইয়া(৫৪) তার মা নাজমা আক্তার (৭৫),মনতলী স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষিকা মাহমুদা আক্তার (৪৪) পল্লী চিকিৎসক ডাক্তার ফরিদ আহমেদ (৫৫), এর খালা মনোয়ারা বেগম (৬০), বোন নাছিমা বেগম ৪৫), স্ত্রী লায়লা বেগম (৪০), মেয়ে শামীমা আফরোজ (১৫), মামী মাজেদা বেগমের (৫৫),খালেদা বেগম (২৫),মৃত.দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেন জামাল (৩০) সরেজমিন ঘুরে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, বুধবার দিবাগত ইঞ্জিনিয়ার রফিক মিয়ার বাড়ীতে ভাড়াটিয়া নরপাটি উচ্চ বিদ্যালের সহকারী প্রধান শিক্ষক মনির আহাম্মদ ভূইয়ার ঘরে খাবারের সঙ্গে নেশাদ্রব্য মিশিয়ে পরিবারের তিন সদস্যকে অচেতন দেড় ভরি ওজনের গলার হার, নগদ ৩ হাজার টাকা।
একই রাতে পল্লী চিকিৎসক ডাঃ ফরিদ আহমেদ এর ঘরে খাবারের সঙ্গে নেশাদ্রব্য মিশিয়ে পরিবারের সকল সদস্যকে অচেতন করে দেড় ভরি ওজনের গলার হার নগদ ৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
এছাড়া মৃত.দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেন জামাল (৩০) এর ঘরে খাবারের সঙ্গে নেশাদ্রব্য মিশিয়ে ঘরের দরজা কেটে ঘরে প্রবেশ করে এসময় চোরদের উপস্থিতি টের পেলে চোররা পালিয়ে যায়। এতে আনোয়ার হোসেন জামাল গুরুতর অচেতন হয়।
স্থানীয়রা উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট খানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ, কে ফজলুল হক বলেন, এই ঘটনায় আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ আসলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।