লাকসাম প্রতিনিধি
ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর ৫ আগস্ট পালিয়ে যায় লাকসাম রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল হায়দার চৌধুরী মান্না। কিন্তু হঠাৎ ২ ডিসেম্বর সোমবার দুপুরে লাকসাম টি এক্স আর অফিস থেকে হাজিরা খাতা চুরি করে পাঠিয়ে তার সহযোগী টিএক্সআর আকতার অজ্ঞাতস্থান থেকে হাজিরা খাতায় মান্নার সই নিয়ে আসে। তবে স্থানীয়দের ধারনা মান্নার জাল স্বাক্ষর করেছেন সুচতুর আকতার। এতে লাকসাম রেলওয়ে জংশনে কর্মরত বৈষম্য বিরোধী ও মান্নার হাতে নির্যাতিত শ্রমিক কর্মচারীদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। টিএক্সআর মান্না লাকসাম রেলওয়ে জংশনে টিএক্স আর হিসেবে কর্মরত থাকলেও গত ১০ বছর কোন ডিউটি করতো না। সারাক্ষণ ফ্যাসিবাদ সরকারের এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এর শ্যালক মহব্বত আলীর সাথে থাকত। চাকুরী না করে মাসে মাসে সরকারি বেতন ও টিএ ভাতা গ্রহন করত। রেলওয়ে জংশন করত মাস্তানি – সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। পাশাপাশি প্রকাশ্য মাদক ব্যবসা ও সেবনও করত। এছাড়াও রেলওয়ে কর্মকর্তা কর্মচারীদের জিম্মি করে আদায় করত হাজার টাকা চাঁদাবাজি। ট্রেনের হকারদের কাছ থেকেও নিত চাঁদা। জংশন এলাকায় মান্নার পরিচিতি ছিল চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে লাকসাম রেলওয়ে হেড টি এক্সআর ফুরহাদ বলেন, মান্না তো অনুপস্থিত সে তো ডিউটিতে আসে না ৫ আগস্টের পর থেকে আজও সে আসেনি তাহলে হাজিরা খাতায় গায়বি স্বাক্ষর করে লাভ হবে না।এদিকে এ মান্নার হাতে অত্যাচারিত ও নির্যাতিতরা লাকসাম রেলওয়ে জংশন মিছিল পোস্টার মাইকিং করেছে।