• শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম
নাঙ্গলকোটে চোর চক্রের তিন নারী সদস্য আটক নাঙ্গলকোটে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ মনোহরগঞ্জে আন্তঃ উপজেলা ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট এর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত আবু সায়েম আজাদকে জিয়া মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নির্বাচিত করায় সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ উল্যাহকে ফুলেল শুভেচ্ছা লাকসামের ইছাপুরায় ‘জুলাই বিপ্লব শহীদ স্মৃতি’ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত ধর্ষক বিএনপি নেতা মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়ার অনুসারী লাকসামে অগ্নিকাণ্ডে তিন পরিবারের নয়টি ঘর পুড়ে ছাই নাঙ্গলকোটে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক দলের কেউ নয়, দাবি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের লাকসাম উপজেলা পরিষদের গাড়ী ব্যাক্তিগত কাজে ব্যবহার করেও সরকারি মেরামত ব্যয় ১২ লাখ টাকা লাকসামে বিএনপি নেতা মন্টুর হাতে প্রধান শিক্ষক প্রহ্রত: বিচার দাবি
সর্বশেষ
নাঙ্গলকোটে চোর চক্রের তিন নারী সদস্য আটক নাঙ্গলকোটে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ মনোহরগঞ্জে আন্তঃ উপজেলা ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট এর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত আবু সায়েম আজাদকে জিয়া মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নির্বাচিত করায় সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ উল্যাহকে ফুলেল শুভেচ্ছা লাকসামের ইছাপুরায় ‘জুলাই বিপ্লব শহীদ স্মৃতি’ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত ধর্ষক বিএনপি নেতা মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়ার অনুসারী লাকসামে অগ্নিকাণ্ডে তিন পরিবারের নয়টি ঘর পুড়ে ছাই নাঙ্গলকোটে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক দলের কেউ নয়, দাবি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের লাকসাম উপজেলা পরিষদের গাড়ী ব্যাক্তিগত কাজে ব্যবহার করেও সরকারি মেরামত ব্যয় ১২ লাখ টাকা লাকসামে বিএনপি নেতা মন্টুর হাতে প্রধান শিক্ষক প্রহ্রত: বিচার দাবি

নাঙ্গলকোট পৌর মেয়র আবদুল মালেকের বিরুদ্ধে কোটি-কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

Reporter Name / ১৯৯ Time View
Update : রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪

বিশেষ প্রতিনিধি
নাঙ্গলকোট পৌরসভা সাবেক মেয়র আব্দুল মালেক ইটভাটা ও গোডাউনের কুলি থেকে আওয়ামী যুবলীগের রাজনীতি ও পৌর মেয়র হয়ে গত ২০বছরে প্রায় শতকোটি টাকার মালিক বনে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নাঙ্গলকোট উপজেলা সদরে রেলের জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ থেকে শুরু করে ঠিকাদারী, নিয়োগ বাণিজ্য, পৌরসভার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের কমিশন, উন্নয়নের নামে সরকারি ও বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ লোপাট, পৌর বাজারের ইজারার টাকা লোপাটের নামে রাজস্ব ফাঁকি, সোলার সড়ক বাতির নামে কোটি টাকা আত্মসাৎ, পৌরসভার বরাদ্ধ থেকে নিজের বাড়িতে আইপিএস স্থাপন, ব্যাক্তিগত গাড়ি চালিয়ে পৌরসভা থেকে গাড়ির তৈল ক্রয় বাবদ ৪/৫ লাখ টাকা গ্রহণ, হিন্দুদের জমি নামমাত্র মূল্যে ক্রয়, উপজেলা সদরে জমির দালালি কোথায়ও তার হাত ছিল না। ৫আগষ্ট ছাত্র-জনতার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মেয়র আবদুল মালেক গা ঢাকা দেওয়ার পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। আবদুল মালেক ২০১৬ সালের ৫ মার্চ ১মবার মেয়র হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ২০২১ সালে ২১ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয়বার পৌরমেয়র হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। পৌরসভার এক ভুক্তভোগী পৌর মেয়র আব্দুল মালেকের গত সাড়ে সাত বছরের ব্যাপক দূর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে কোটি-কোটি টাকা আত্মসাতের ফিরিস্তি নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগে একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগ ও অনুসন্ধানে জানা যায়, পৌরসভার সর্বত্র তার অনিয়ম-দুর্নীতির ছড়াছড়ি লক্ষ্য করা যায়। পৌরসভার কোন উন্নয়ন কাজ গোছালো ছিল না। বিভিন্নস্থানে ড্রেনেজ ব্যবস্থার কাজের বেহাল অবস্থা বিরাজ করতে দেখা যায়। নাঙ্গলকোট পৌরবাজার থেকে দৌলতপুর পর্যন্ত ড্রেনেজ ব্যাবস্থার রডগুলো দেখা যায়। এ ড্রেনটির বিভিন্ন স্থানের কাজ অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পৌরসভার কাজি মার্কেটের সামনের ঢাকা-চট্রগ্রাম রেলপথ সংলগ্ন সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ শুরু থেকে বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। সৌন্দর্য বর্ধনের পাশাপাশি একটি পোয়ারা তৈরী করা হলেও এটি শুরু থেকেই চালু করা সম্ভব হয়নি। পৌরসভার বিপুল পরিমাণ অর্থ লোপাটের পাঁচ সহযোগীর মধ্যে একজন হচ্ছেন, সহকারি প্রকৌশলী সাইফুর রহমান। যেখানে একজন সহকারি প্রকৌশলী একটি পৌরসভায় তিন বছরের বেশি চাকুরি করার নিয়ম নেই। সেখানে সহকারি প্রকৌশলী সাইফুর রহমান মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের দোহাই দিয়ে গত ১০বছর থেকে দাপটের সাথে পৌরসভায় চাকুরী করছেন। পৌর মেয়র আব্দুল মালেকের সাথে সহকারি প্রকৌশলী সাইফুর রহমানও আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন। গত ১০বছরে অনিয়মনের মাধ্যমে প্রায় ২০ কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ঢাকায় একাধিক ফ্ল্যাটের সাথে দাউদকান্দির গৌরিপুরেও নাকি তার নামে ফ্ল্যাট রয়েছে। পৌর কর্মচারীদের ভাষ্য মতে, তিনি মাসে ৩০হাজার টাকা বেতন পেয়ে নিজের ও পরিবারের মাসিক ব্যয় মিটিয়ে কিভাবে এতগুলো ফ্ল্যাট ও জমির মালিক হতে পারেন ? তার অপর সহযোগী প্রকৌশল বিভাগের উচ্চমান সহকারি আলমগীর কবির চৌধুরীও অল্পকিছুদিনের মধ্যে কয়েক কোটি টাকার মালিক বনে যান। পৌরসদরে গরুর ফার্ম, ফাস্টফুড দোকানের পাশাপাশি নামে-বেনামে তার বিভিন্ন সম্পত্তি রয়েছে। গত ৫ আগষ্টের পর থেকে মেয়রের সাথে আলমগীর কবির চৌধুরীও পলাতক রয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চলতি ১৪৩১ বাংলা সনের পৌর বাজারের সাপ্তাহিক, তোহা বাজার, গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগী, মাছ, চারা বাজার, কসাইখানা, গণশৌচাগার, ৪টি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা স্ট্যান্ড, পানের মহালসহ ১৭টি খাতের ইজারায় সর্বোচ্চ ১ কোটি ৪৮লাখ টাকা দরদাতা হিসেবে উপজেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমান মিন্টুগং বাজার ইজারা নেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকার দরদাতা ছিলেন, ছাত্রলীগ নেতা ওবায়েদুল হক গং। যদিও এর আগে গত সাড়ে সাত বছরে অন্য কেউ দর ডাকার সুযোগ পর্যন্ত পাননি। চলতি বাংলা সনে ওবায়দুল হক গং কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে সিডিউল ক্রয় করে দর ডাকেন। মজিবুর রহমান মিন্টু গং সর্বোচ্চ দরদাতা হলেও তিনি পৌর মেয়র আব্দুল মালেকের সাথে যোগসাজসে সরকারি কোষাগারে পৌর বাজার ইজারার টাকা জমা না দিয়ে আদায়কৃত বিপুল পরিমাণ ইজারার টাকা আত্মসাৎ করার জন্য খাস কালেকশান দেখান। খাস কালেকশান হচ্ছে, বাজার ইজারায় কেউ ডাক না দেওয়ায় খাস কালেকশান দেখানো হয়। এতে করে চলতি বাংলা সনে অবৈধভাবে মৌখিক হিসেবে মজিবুর রহমান মিন্টু বাজার ইজারা নেন। পৌর বাজারের ১৭টি খাতসহ তোহা ও সাপ্তাহিক বাজারের যে টাকা উঠানো হয় তার নামমাত্র টাকা পৌরসভার ব্যাংক হিসাব নম্বরে জমা দিয়ে অবশিষ্ট টাকা মজিবুর রহমান মিন্টুগং এবং মেয়র আব্দুল মালেক ভাগভাটোয়ারা করে নেন। জানা যায়, পৌর বাজারের খাস কালেকশানের নামে গাত সাড়ে সাত বছরে পৌর মেয়র আবদুল মালেক প্রায় ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন।
এডিবি‘র স্পেশাল বরাদ্ধের কাজ না করেও বিল উত্তোলন করেন। বিভিন্ন রাস্তাঘাট মেরামতে অল্প পরিমাণ ইট-সুরকি ফেলে প্রায় দুই কোটি আত্মসাৎ করেন। নামে-বেনামে মক্তব, মসজিদ দেখিয়ে সভাপতি, সেক্রেটারী ও কমিটির স্বাক্ষর জাল করে গত সাড়ে ৭বছরে টিআর ও কাবিখার প্রায় দেড়‘শ টন চালের টাকার আত্মসাৎ করেন। এক্ষেত্রে মসজিদ ও মক্তব কমিটির সভাপতি ও সেক্রেটারী কিছুই জানে না।
গত ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত ১মবার মেয়র নির্বাচিত হওয়ার সময় পৌরসভায় প্রায় ১শ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ হয়। এসব উন্নয়ন কাজের অধিকাংশ কাজ নিজের ঠিকাদারিতে করেন। আবার ঠিকাদারদের নিকট হতে কাজের শতকরা ২০ভাগ কমিশনও নেন। এখানেও কোটি-কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। ঠিকাদার নোমানের জামানতের ২লাখ টাকা এবং ১নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর নিজাম উদ্দিন মজুমদারের ঠিকাদারির জামানতের দেড় লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন।
সম্প্রতি পৌর মেয়র আবদুল মালেক এক কোটি টাকা দিয়ে নতুন একটি গাড়িও কিনেছেন। এর মধ্যে পৌরসভা প্রকৌশলীসহ ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তেলবাজ কর্মচারীরা পৌরসভার বিভিন্ন খাত থেকে নয়-ছয় করে মেয়রের গাড়ি ক্রয়ের জন্য ২০লাখ টাকা বের করে দেন বলে সূত্রে জানা যায়।
গত ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর পৌর মেয়র আব্দুল মালেকও গা ডাকা দেন। এ ফাঁকে পৌরসভার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা পৌর বাজার ডাকের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য খাশ কালেকশান অবৈধ হওয়ায় আবার পৌর বাজার ডাকের সিডিউল ছাড়েন। জানা যায়, প্রায় ১শ১০ জন দরদাতা সিডিউল ক্রয় করেন। যেখানে বিগত বছরগুলোতে সরাসরি কারো সিডিউল ক্রয় করার সাহস ছিল না। বর্তমানে ওপেন ডাকের মাধ্যমে সরকারি নিয়মের মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতারা পৌর বাজার ইজারা নেন।
সাবেক মেয়র আব্দুল মালেকের দূর্ণীতির সহযোগী ও একান্ত আস্থাভাজন ৬/৭জন কর্মচারী ছাড়া অধিকাংশ কর্মচারীর ২৪ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। কর্মচারীরা বেতন না পেয়ে মানববেতর জীবন-যাপন করলেও মেয়র আব্দুল মালেকের নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ নেই। বর্তমানে ৪৬জন কর্মকর্তা/কর্মচারীর বিশাল বহর পৌরসভায় নিয়োগ রয়েছে। যেখানে কর্মচারীদের ২৪মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। সেখানে পৌর মেয়র গত ১৩ মে আরো ৮জন কর্মচারী নিয়োগের ছাড়পত্র প্রদানের জন্য স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব প্রেরণ করেন। মেয়র আব্দুল মালেক গত সাড়ে সাত বছরে ১০জন কর্মচারী নিয়োগ প্রদান করেন। এই ১০জন থেকে প্রায় ৫০লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।
ইশরাত জাহান নামে একজনকে পাম্প চালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলেও পৌরসভায় এখনো পাম্পই বসানো হয়নি। তাকে বসিয়ে-বসিয়ে বেতন দেওয়া হচ্ছে। তার বাড়ি ব্রাক্ষণবাড়িয়ায়। সোহেল রানা নামে একজনকে বিদ্যুৎ হেলপার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলেও সে বিদ্যুতের কিছুই জানে না। অফিস সহায়ক হিসেবে রহিমা নামে একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তার বাড়ি লাকসাম। সে মেয়র আবদুল মালেকের দুর সম্পর্কের আত্মীয়। মেয়রের ভাগিনা নিজাম উদ্দিন কালুকে টিকাদানকারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ইউছুফ নবী নামে একজনকে জীপ চালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অথচ পৌরসভায় কোন জীপ নেই। এমনটি ইউছুফ নবীর ড্রাইভিং লাইসেন্স পর্যন্তও নেই। তাকে বসিয়ে-বসিয়ে বেতন দেওয়া হচ্ছে। আওয়ামীলীগ নেতা মজিবুর রহমান মিন্টুর স্ত্রী স্টোর কিপার তামান্না দায়িত্ব পালন না করে নিয়মিত কুমিল্লা থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অথচ সে নিয়মিত পৌরসভা থেকে বেতন নেন। পৌরসভার সাবেক ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আক্তরুজ্জামানের ছেলে শিপনকে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে তার থেকে ২লাখ নেন। কিন্তু তাকে চাকুরি দিতে পারেননি। পরে তাকে মাস্টার রোলে ৫হাজার টাকা করে বেতন দেওয়া হয়। পৌরসভার হরিপুর গ্রামের মাসুম নামের একজনকে মেয়রের জীপচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে তার থেকে ২লাখ টাকা নেওয়া অভিযোগ রয়েছে।
পৌরসভায় সড়ক বাতি সোলার লাইট বসানোতে বড় ধরণের দূর্ণীতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। নিম্নমানের প্রতিটি সোলার লাইটের দাম ৩০ হাজার টাকা হলেও টেন্ডারে দেখানো হয়েছে ৭০ হাজার টাকা। এর মধ্যে ৬মাসের মধ্যে অধিকাংশ সোলার লাইট নষ্টসহ অনেক জায়গায় সোলার লাইটের খাম্বা পর্যন্ত নেই। এছাড়া বিভিন্ন্স্থানে সোলার লাইটের জন্য বেইস ঢালাই দেওয়া হলেও সোলার লাইট না বসিয়ে টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এধরণের ১শ লাইট স্থাপনের জন্য বেইস ঢালাই দিলেও সোলার লাইট না বসিয়ে পুরো টাকা আত্মসাৎ করা হয়। হরিপুর পশ্চিমপাড়া কাজী রিয়াজদের মসজিদের পূর্ব-দক্ষিণ পাশে সোলার লাইটের বেইস ঢালাই দেওয়া হলেও গত তিন বছরেও সোলার লাইট বসানো হয়নি। হরিপুর উত্তর পাড়া সাবেক কাউন্সিলর বাহারদের মসজিদের পিছনে সোলার লাইটের বেইস ঢালাই দেওয়া হলেও এলাকাবাসী সোলাই লাইটই দেখেনি। গরু বাজার যাত্রী ছাউনির একটি কক্ষ ২০১১ সাল থেকে তরুণলীগ সভাপতি এয়াছিন ব্যবহার করে আসছেন। জানা যায়, এয়াছিনের শ্বশুর যাত্রী ছাউনির কক্ষটি ব্যবহার করছেন। যাত্রী ছাউনির কক্ষটি পৌরমেয়র আবদুল মালেককে ৫লক্ষ টাকা অগ্রিম দিয়ে কক্ষটি ৩হাজার টাকায় ভাড়া দেওয়া হয়। যাত্রী ছাউনির কক্ষটির অগ্রিম টাকা এবং গত ১২ বছরে ভাড়া বাবদ এক টাকাও পৌরসভার ব্যাংক হিসাব নম্বরে জমা হয়নি।
পৌরসভার আর সি সি সড়ক, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, কালভার্ট, গার্ডওয়ালসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ সম্পাদনে কখনো কোন ওপেন টেন্ডার হতো না। সব কাজ আওয়ামীলীগ নেতা ও ঠিকাদার মাহমুদের লাইসেন্সে তরুণলীগ সভাপতি ইয়াছিন ও ইউছুফ করতেন। এসব উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের শতকর ২০ ভাগ টাকা মেয়র আবদুল মালেককে প্রদান করতে হতো। শেষদিকে এসে মেয়র আবদুল মালেক তার ছেলেকে দিয়েও ঠিকাদারীর কাজ করান। পৌর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ঢালাইয়ের কাজ পৌরমেয়র আবদুল মালেকের ছেলে করেন। পৌর ঈদগাহের ঢালাই কাজের বরাদ্ধ বাড়াতে-বাড়াতে ৩০লাখ টাকা পর্যন্ত করেন। হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজের শহীদ মিনারের কাজটিও ছেলেকে দিয়ে করান। বিভিন্ন সড়কের আর সি সি ঢালাইয়ের নির্মাণ কাজ ঢেন্ডার অনুযায়ী এক স্থানের কাজ অন্যস্থানেও করার অভিযোগ রয়েছে। ঢাকা-চট্রগ্রাম রেললাইন সংলগ্ন হরিপুর উত্তরপাড়া রেললাইন গেট থেকে বাজার রেললাইন গেট পর্যন্ত আর সি সি ঢালাই কাজ এখানে না করে উপজেলা পরিষদের ভিতরে হতে দেখা য়ায়। পৌরসভার প্যানেল মেয়র ছাদেক হোসেন কাজটি করেন। এ নিয়ে স্থানীয় মোশারফ হোসেনসহ এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলে তাদেরকে বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে আবার টাকা আসলে পরে করে দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রæতি দেওয়া হয়। পৌরসভাবাসী গত সাড়ে সাত বছরের সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল মালেকের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ, পৌরসভার ইজারার টাকার অনিয়মসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দূর্নীতির মাধ্যমে কোটি-কোটি টাকা আত্মসাতের নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে তাকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান পৌরবাসী।


আপনার মতামত লিখুন :
More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা