নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি
আজ ১১ বছর পূর্ণ হলো বিএনপি দুই নেতা হিরো-হুমায়ুনের গুম হওয়ার। ২০১৩ সালের এই দিনে, এক মুহূর্তেই বদলে যায় তাদের পরিবার, তাদের দল এবং দেশের লাখো মানুষের জীবন। কোনো পূর্বাভাস ছাড়া, অন্ধকারের মাঝে হিরো- হুমায়ুন যেন হাওয়া হয়ে যান। নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর থেকে তার পরিবার, বন্ধুরা, সহযোদ্ধারা, সবাই জানেন না তার ঠিকানা। তবে জানেন, তার জীবনের অসম্পূর্ণতা আজও তাড়া করে যাচ্ছে সবাইকে।
হিরো-হুমায়ুন ছিল সাহসী, আদর্শবাদী নেতা। তারা মানুষের অধিকারের পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে ছিলেন। তারা পায়ে পা মিলিয়ে অনেকেই পথ চলতে চেয়েছিলেন, কিন্তু আজ সেই পথটি যেন এক গভীর অন্ধকারে ঢাকা। তারা গুম হওয়া শুধু এক রাজনৈতিক ঘটনা নয়, এটি যেন একটি জাতির হৃদয়ের ক্ষত হয়ে রয়ে গেছে। তাদের অনুপস্থিতি আজও আমাদের চোখে ঘন হয়ে উঠছে, কিন্তু সেই মুহূর্তে যা হারিয়েছি তা কখনো পূর্ণ হবে না।
হিরো হুমায়ুনের পরিবারের দুর্দশা আজও ভুলে থাকার মতো নয়। তারা আজও প্রতিদিন অপেক্ষা করেন, হয়তো একদিন ফিরে আসবেন তারা । কিন্তু সেই দিনটি কবে আসবে, কেউ জানে না। তাদের স্ত্রী, সন্তানেরা আজও তাদের ফিরে আসার প্রতীক্ষায়, তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সান্ত্বনা খোঁজে। আজ ১১ বছর পরেও, তাদের অনুপস্থিতির শূন্যতা যেন কোনোভাবেই পূর্ণ হতে চায় না।
এই ১১ বছর কেবল শূন্যতা ও বেদনা নিয়ে এলেও, তাদের আদর্শ, তাদের সংগ্রামী মনোভাব আজও আমাদের মধ্যে বেঁচে আছে। একসময় যা হারিয়েছিলাম, তা আজও আমাদের লড়াইয়ের শক্তি। তাদের অসম্পূর্ণ জীবন, তাদের না-ফেরা চিহ্ন আজও আমাদের মধ্যে প্রবাহিত হয়। আমাদের উচিত তাদের সংগ্রামের চেতনা ধারণ করে এগিয়ে যাওয়া। তাদের মতো সাহসী নেতা যতদিন আমরা মনে রাখব, ততদিন তাদের সংগ্রাম, তাদের চেতনা অমর থাকবে।
আজকের এই দিনে, হিরো-হুমায়ুনের নিখোঁজ হওয়ার ১১ বছর পর, আমরা শুধু তার পরিবারের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করি না, বরং প্রতিজ্ঞা করি—এই দেশ, এই সমাজে কখনও তাদের মতো সংগ্রামী নেতার শূন্যতা যেন আর অনুভূত না হয়।