নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বাইশগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও টেন্ডারবাজির অভিযোগে স্থানীয় সচেতন মহল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধানের দাবি তুলেছেন। তাদের মতে, দুদক যদি তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে, তবে কেচু খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসবে।
আওয়ামীলীগ সরকারের শাসনামলে আলমগীর হোসেন বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। তিনি নামে-বেনামে সম্পত্তি কিনে এবং বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণ করে ব্যাপক সম্পদের মালিক হয়েছেন। স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিএনপির শাসনামলে ২০০৬ সালে আলমগীর হোসেন বিএনপির চেয়ারম্যান ছিলেন। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর তিনি দল পরিবর্তন করে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন এবং দু’বার আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে বাইশগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন।
আলমগীর হোসেন জান্নাত এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদার লাইসেন্স করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে টেন্ডারের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার কাজ নিয়েছেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের ক্ষমতা পতন হলেও আলমগীর হোসেনের ক্ষমতা কমেনি। উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা পালিয়ে গেলেও তিনি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
স্থানীয় সচেতন মহল দাবি তুলেছেন যে, দুদক অনুসন্ধানে নামলে কেচু খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসবে। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনের বক্তব্য জানতে তাঁর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।