লাকসাম প্রতিনিধি
ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথের বিরতিহীন আন্তঃনগর কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটন এক্সপ্রেস ট্রেনের লাকসামে যাত্রাবিরতির দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্টুডেন্ট কমিউনিটি ও সাধারণ যাত্রীরা। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকালে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের লাকসাম জংশন স্টেশন প্ল্যাটফর্মে স্টুডেন্ট কমিউনিটি ও সাধারণ যাত্রীরা ওই মানববন্ধনের আয়োজন করেন।
স্টুডেন্ট কমিউনিটির পক্ষে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথে চলাচল করা আন্তঃনগর কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটন এক্সপ্রেস ট্রেনের লাকসামে যাত্রাবিরতির দাবি তুলে ধরে লাকসাম সুরক্ষা সিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান ভুট্টু বলেন, উপমহাদেশের একমাত্র নারী নওয়াব, নারী জাগরণ ও নারী শিক্ষার অগ্রদ্রুত নওয়াব ফয়জুন্নেসার স্মৃতি বিজড়িত লাকসাম রেলওয়ে জংশন স্টেশন একটি প্রসিদ্ধ ও ঐতিহ্যবাহী রেলওয়ে জংশন। শুধু বাংলাদেশে নয়, উপমহাদেশে লাকসাম রেলওয়ে জংশনের একটি সু-খ্যাতি রয়েছে। দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে লাকসাম রেলওয়ে জংশনকে ঘিরে। চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, ফরিদপুর, শরিয়তপুর, বরিশাল, নোয়াখালী, লক্ষীপুরসহ বিভিন্ন জেলার যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে লাকসাম রেলওয়ে জংশনকে ব্যবহার করতে হয়।
এছাড়াও চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ঢাকা, সিলেট, ময়মনসিংহ, নোয়াখালী, চাঁদপুরের রেল যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে লাকসাম রেলওয়ে জংশন। লাকসাম দেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি রেলওয়ে জংশন হলেও এখানে কক্সবাজারগামী আন্তঃনগর কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটন এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতি দেয়া হয়নি। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কক্সবাজারগামী ও কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বিরতিহীন আন্তঃনগর কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটন এক্সপ্রেস ট্রেন দু’টি লাকসামে যাত্রাবিরতি দেয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন সাধারণ মানুষ ও যাত্রীরা।
মানববন্ধনে তিনি আরও বলেন, এটা সাধারণ মানুষ ও যাত্রীদের একটি যৌক্তিক দাবি। বর্তমান সরকারের রেলপথ মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট বিভাগকে এ বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ নিয়ে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটন এক্সপ্রেস ট্রেন দু’টি লাকসামে যাত্রাবিরতি কার্যকর করলে যাত্রীরা যেমন আরামদায়ক ভ্রমণে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে তেমনি রেলওয়ের রাজস্ব আরো বৃদ্ধি পাবে।