আবুল কাশেম গাফুরী
কুমিল্লার গুরুত্বপূর্ণ লাকসাম-চৌদ্দগ্রাম (সওজ)সড়কের বিভিন্নস্থানে পাশ্ববর্তী পুকুর, জলাশয় এবং মৎস্যপ্রজেক্টের পাশে গার্ডওয়াল না থাকায় সড়কটি পুকুর, জলাশয় ও মৎস্য প্রজেক্টে ভেঙে গিয়ে ছোট-বড় যানবাহনকে প্রতিনিয়ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চলাচল করতে হচ্ছে। এছাড়া ভয়াবহ বন্যায় সড়কটির লাকসাম অংশে দীর্ঘদিন পানিতে নিমজ্জিত হয়ে সড়কটির বিভিন্নস্থানে বড় ধরনের খানা-খন্দকের সৃষ্টি হওয়ায় ছোট-বড় যানবাহন চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে সড়কটির বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের কাদবা পুকুর পাড় মোড়, পরিকোট ভূঁইয়া পুকুরপাড়, পার্শ্ববর্তী জলাশয় এবং নুর আহম্মদের মৎস্য প্রজেক্টে প্রতিনিয়ত সড়কটি ভেঙে পড়ায় সড়কটি দিয়ে ছোট-বড় যানবাহনকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চলাচল করতে হচ্ছে। ফলে যে কোন মূহুর্তে বড় ধরণের দূর্ঘটনায় প্রাণহানির আশংকা রয়েছে। এ পর্যন্ত ভূঁইয়া পুকুর পাড়ে চালবাহী একটি ট্রাকটর পানিতে পড়াসহ সম্প্রতি চৌদ্দগ্রামের একটি গার্মেন্টসের কর্মী বহনকারী একটি বাস সড়কটির পাশে আটকে গিয়ে র্দীঘক্ষণ যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। ওই সময় গার্মেন্টস কর্মীদের পায়ে হেঁটে ভোগান্তির মধ্যে দিয়ে তাদের বাড়ি যেতে হয়। সড়কটির পরিকোট অংশসহ বিভিন্নস্থানের বেহাল দশায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহাবুবুরের রহমান গত ২০সেপ্টেম্বর সড়কটি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।
সরেজমিনে সড়কটি ঘুরে দেখা যায়, সড়কটির বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের কাদবা পুকুর পাড় মোড়, পরিকোট ভূঁইয়া পুকুর পাড়, পাশ্ববর্তী জলাভূমিতে গার্ডওয়াল না থাকায় সড়কটি নিয়মিত ভেঙে পুকুর এবং জলাভূমিতে বিলীন হয়ে সড়কটি ছোট হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া চৌদ্দগ্রামের ছাতিয়ানি পশ্চিমপাড়া গ্রামের নুর আহম্মদের মৎস্য প্রজেক্টেও গার্ডওয়াল না থাকায় সড়কটি ভেঙে পুকুরে বিলীন হতে দেখা যায় । ফলে সড়কটি দিয়ে মালবাহি ট্রাক ট্রাকটর, কাভার্ডভ্যান, যাত্রীবাহি মাইক্রোবাস, বাস, সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, মোটরসাইকেল এবং ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সাকে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চলাচল করতে হচ্ছে। সড়কটি দিয়ে যানবাহন চলাচলে একটু এদিক-সেদিক হলে বড়ধরণের দূর্ঘটনায় প্রাণহানির আশংকা রয়েছে।
এদিকে ভয়াবহ বন্যায় সড়কটির লাকসাম অংশে নরপাটি জামতলা থেকে গাইনের ডহরা হয়ে কাদরা পর্যন্ত সড়কটি দীর্ঘদিন পানিতে নিমজ্জিত থাকায় সড়কটির বিভিন্নস্থানে খানা-খন্দকের সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে নরপাটির জামতলা, গাইনের ডহরা এবং কাদরা এলাকায় বড়ধরণের একাধিক খানা-খন্দকের সৃষ্টি হওয়ায় ছোট-বড় যানবাহনকে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চলাচল করতে হচ্ছে। পরিকোট গ্রামের ফয়সাল মজুমদার, সড়কটির পরিকোট ভূঁইয়া পাড় এবং পাশ্ববর্তী জলাশয়ে গার্ডওয়াল না থাকায় সড়কটি নিয়মিত ভেঙে পুকুরে বিলীন হওয়ায় সড়কটি দিয়ে ছোট-বড় যানাবাহনকে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চলাচল করতে হচ্ছে। এ পর্যন্ত স্থানটিতে কয়েকটি দূর্ঘটনা ঘটেছে।
ছাতিয়ানি পশ্চিমপাড়া গ্রামের রুবেল বলেন, নুর আহম্মদের মৎস্য প্রজেক্টে সড়কটি নিয়মিত ভেঙে পড়ে সড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। মৎস্য প্রজেক্টের পূর্ব পাড়ে আমাদের বাড়ির অংশে আমরা গার্ডওয়াল নির্মাণ করলেও মৎস্য প্রজেক্টের কারণে আমাদের বাড়িটিও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালক শহিদ জানান, সড়কটির লাকসাম অংশে, নরপাটি জামতলা, গাইনের ডহরা ও কাদরা এলাকায় এলাকায় একাধিক খানা-খন্দকের সৃষ্টি হওয়ায় সড়কটি দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চলাচল করতে হচ্ছে।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপ-সহকারি প্রকৌশলী বশির খাঁন বলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহাবুবুরের রহমান ২০সেপ্টেম্বর সড়কটির পরিকোট অংশসহ বিভিন্নস্থানে সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। সড়কটির ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে গার্ডওয়াল নির্মাণ এবং সংস্কার টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রয়োজনীয় ফান্ড ফেলে এবং পুকুরের পানি কমলে দ্রুত সড়কটির উন্নয়ন কাজ করা হবে।