নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট পৌর শহরের নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মজিবুল হায়দারের অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে এনে গত ৬ অক্টোবর রবিবার দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ শেষে অনিয়মের অভিযোগের একটি তালিকা স্মারকলিপি আকারে কলেজের সভাপতি নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুরাইয়া আক্তার লাকির নিকট জমা দেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে তারা অর্ধেকের বিরুদ্ধে চাহিদা পত্র বিহীন একই মাসে কলেজের বিভিন্ন হিসাবতে ভাউচার চাড়া প্রায় ১১ লক্ষ টাকা উত্তোলনের অভিযোগ এনেছেন, কলেজের উপাধ্যক্ষ নয় কিন্তু অধ্যক্ষ উপাধ্যক্ষের ভাতা উত্তোলন করে নিজে রেখে দেন, খন্ডকালীন শিক্ষক নেই কিন্তু অধ্যক্ষ মহোদয় শিক্ষক কর্মচারীদের নামে ঢাকা উত্তোলন করেন,কলেজের পুরানো ছাত্রাবাস টেন্ডার না দিয়ে তিনি বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ করেন, ২০২৩-২০২৪ সরকারি বরাদ্দের ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা তিনি ভুয়া ভাউচার দিয়ে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন উল্লেখিত টাকার কোন মালামাল তিনি কয় করেননি,রিসিট বিহীনভাবে ছাত্রদের সার্টিফিকেট, প্রশংসাপত্র, রেজিস্ট্রেশন কার্ড বিতরণের সময় টাকা নিয়ে তিনি তিনি আত্মসাৎ করেন, এবং কলেজের শিক্ষার্থী প্রদীপ দাসকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠান অধ্যক্ষ মজিবুল হায়দার এছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে আরো বহু অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। এ ব্যাপারে কলেজ অধ্যক্ষ মজিবুল হায়দার চৌধুরী বলেন আমার কোন একটি আর নেই কমিটি ব্যাতিরেখে কলের একাউন্ট থেকে টাকা উঠানোর। আমার ব্যাপারে আনিত সকল উপস্থিত মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমার কলেজে ২৬ জন শিক্ষক সাতজন কর্মচারী রয়েছে আমি সকল কাজ তাদের এবং কমিটি সহ উদ্ধতন কর্মকর্তাদের পরামর্শ করে থাকি।আমার কোন একক সিদ্ধান্তে কলেজের কোন কাজ পরিচালনা করা হয় না।এদিকে কলেজের কয়েকশ শিক্ষার্থী প্রিন্সিপালের পদত্যাগ চেয়ে গণস্বাক্ষর করেছে।